কোভিডবিধি মেনে ভোটের প্রস্তুতি। ছবি পিটিআই।
প্রচার, সভামঞ্চে আক্রমণের পর্ব শেষ হয়েছে সোমবার। বৃহস্পতিবার হাতকলমে পরীক্ষা যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির। ভোটগ্রহণের আগে কড়া নিরাপত্তার জালে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং শমসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোটের দিন শমসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল সব দলের প্রার্থীরাই। সব দলের প্রার্থীদেরই আশঙ্কা, সেখানে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে ভোটের আগে তৃণমূল এবং সিপিএমের দুই নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায়। ভোটের আগে উত্তেজনা রয়েছে জঙ্গিপুরেও।
বুধবার প্রশাসনিক স্তরে চলছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। সকাল থেকে জঙ্গিপুরে পলিটেকনিক কলেজের ‘ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার’ থেকে শুরু হয় ভোট-সরঞ্জাম বণ্টন প্রক্রিয়া। এর মাঝেই বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলেছে ভোটকর্মীদের।
সমস্ত সরঞ্জাম নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হয়। জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩৬৩। শমসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩২৯। বুধবার বিকেলের মধ্যেই লম বুথে পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শমসেরগঞ্জ ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত রাখা হয়েছে। সেখানে সাত জন প্রার্থী ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে জঙ্গিপুর বিধানসভায় রয়েছে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৮।
এরই মধ্যে শমসেরগঞ্জে ভোটের ডিউটি করতে এসে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ধুলিয়ান পুরসভার ‘ম্যারেজ হল’-এ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবলের নাম তরুণ মণ্ডল (৩৭)। তিনি জলপাইগুড়ি থানার মিলন পল্লির ‘আউট পোস্ট’-এ কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ‘ম্যারেজ হল’-এর ছাদে স্নান করছিলেন তিনি। সেই সময় পা পিছলে নীচে পড়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে অনুপনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয় তরুণকে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।