Death Sentence

ধর্ষণের পর শিশুকে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন! পাহারাদারকে মৃত্যুদণ্ড দিল আগরার কোর্ট

২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা। আগরায় নিজের বাড়ির বাইরে খেলা করছিল সাত বছরের শিশু। গ্রামের পাহারাদার তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তার পর তাকে খুন করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৬
সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড।

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড। —প্রতীকী চিত্র।

ধর্ষণের পর সাত বছরের শিশুকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল গ্রামের এক পাহারাদারকে। ২০২৩ সালে তিনি ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রথমে শিশুটিকে তিনি ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তা ব্যর্থ হলে পাথর দিয়ে শিশুর মাথা থেঁতলে দেন তিনি। এই ঘটনায় পকসো আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে ১.২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে অভিযুক্তকে, যা ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা। আগরার এত্মাদপুরে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল সাত বছরের শিশু। ওই গ্রামেই পাহারাদারের কাজ করতেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, খেলা করতে দেখে তিনি শিশুটিকে ডেকে নেন। তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যান নিরিবিলি এলাকায়। তার পর সেখানে ওই শিশুকে তিনি ধর্ষণ করেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য শিশুটিকে খুন করেন। প্রথমে পুকুরের জলে ডুবিয়ে শিশুটিকে মারার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। তা কাজে লাগেনি। এর পর পাথর দিয়ে মেরে শিশুর মাথা থেঁতলে দেন। তার পর দেহ পাশের মাঠে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।

গ্রামবাসীরা শিশুটিকে খুঁজতে খুঁজতে তার দেহ আবিষ্কার করেন মাঠ থেকে। আগরার এসিপি সুকন্যা শর্মার নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অভিযুক্তের সঙ্গে শিশুটিকে দেখা গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চুলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলে যায়। পকসো আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সাক্ষ্য এবং প্রমাণগুলি বিবেচনা করে বিচারক তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান। পুলিশ সূত্রে খবর, শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের পরিবারের কেউ আদালতে ছিলেন না। তিনি জেলে থাকাকালীনও কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নিহত শিশুর বাবা।

Advertisement
আরও পড়ুন