মেরামতির কাজের জন্য শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সাঁতরাগাছি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ছবি— সংগৃহিত।
সাঁতরাগাছি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। জরুরি মেরামতির কাজ শুরু হলেই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে সেতুতে ভারী পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল। শুক্রবার সকাল থেকেই সাঁতরাগাছি সেতুতে যানজট লক্ষ করা গিয়েছে। ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেতুর এক পাশ দিয়ে শুধু যাত্রিবাহী গাড়িই যাওয়া- আসা করবে। সেতুতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। পরিবহণ দফতর নির্দেশিকায় জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেতুতে মেরামতির কাজ চলবে। আশঙ্কা, যান চলাচলও প্রায় দেড় মাস ধরে এ ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেতুতে যে হেতু ভারী গাড়ি ও অয়েল ট্যাঙ্কারের মতো গাড়ির চলাচল বন্ধ থাকবে, তাই বিকল্প রাস্তা হিসাবে আন্দুল রোড দিয়ে সেই গাড়িগুলি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কলকাতা থেকে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে আলমপুর, আন্দুল রোড ধরতে পারবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ওই রাস্তায় যাতায়াত করা যাবে। অন্য দিকে, টালা সেতু, নিবেদিতা সেতু, ডানকুনি হয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কেও যেতে পারবে কলকাতার দিক থেকে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক। আবার খড়্গপুর থেকে যে সব পণ্যবাহী গাড়ি কলকাতার দিকে আসবে, সেগুলি ধূলাগড়, আলমপুর, নিবড়া, সিসিআর ব্রিজ, নিবেদিতা সেতু হয়ে টালা সেতু ধরতে পারবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ওই পথে যেতে পারবে গাড়িগুলি। একই ভাবে, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসা ভারী গাড়িগুলি ডানকুনি থেকে নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় আসবে।
সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর এক পাশ বন্ধ হয়ে গেলে প্রবল যানজট তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, একটি লেন দিয়েই দু’দিকের সব যাত্রিবাহী গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ ছোট গাড়ি ওই সেতু ব্যবহার করবে ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। যাত্রিবাহী গাড়িগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজ়া থেকে হাংসাং ক্রসিং, ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, শানপুর ক্রসিং, হাওড়া-আমতা রোড থেকে সলপ মোড় হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে পারবে। ওই রাস্তা দু’দিকেই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে হাওড়া-আন্দুল রোড, মৌড়ীগ্রাম উড়ালপুল, আলমপুর হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যেতে পারবে খড়্গপুরমুখী যাত্রিবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ জরুরি পরিষেবায় যুক্ত গাড়ি। ওই রাস্তাটিও সারা ক্ষণ খোলা থাকবে।