ফেসবুক বার্তায় বিরোধীদের জায়গা দেওয়ার বার্তা তৃণমূল বিধায়কের। — ফাইল ছবি।
বিরোধী দলের মিটিং মিছিলে বাধা দেওয়া যাবে না। দলীয় কর্মীদের এমন বার্তাই দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিজেপির যদিও পাল্টা কটাক্ষ, বিধায়কের ‘চৈতন্য’ হয়েছে কি না বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত।
পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এখনও ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। সব দলই নিজের মতো করে তৃণমূল স্তরের সংগঠনের দেখভাল করছে। চলছে সমাবেশ, মিছিল। এরই মধ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠছে বিরোধীদের পেটানোর অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই এ বার বিরোধীদের জায়গা দিতে পদক্ষেপ করলেন হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। অসিত নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লিখেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে হবে। অতি উৎসাহে কোনও ভাবেই দলীয় নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে তার দায় দলের নয়।’’ তিনি দলের কর্মী বাহিনীকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কী কী করতে হবে এবং কী করা যাবে না।
যদিও বিধায়কের বার্তায় আশ্বস্ত হতে পারছে না বিরোধী বিজেপি। উল্টে অসিতকেই কটাক্ষ করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘চৈতন্য ফিরছে নাকি বিধায়কের! বাল্মিকী হতে চাইছেন, তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে গণতন্ত্রের কথা মনে পড়েছে। এর মানে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাণ্ডব হবে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতির আরও অভিযোগ, গত ৫ অগস্ট চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে অসিতের লোকেরাই বিজেপির মিছিলে হামলা করেছিলেন। লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়েছিল বিজেপিকর্মীদের। অসিত বলেন, ‘‘দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দিতেই হবে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। প্রতিটা মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন সেটা দেখতে হবে। আমরা সেই রাস্তায় হাঁটছি। সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের কার্যকলাপ চালাক কিন্তু কুৎসা মানব না।’’
প্রসঙ্গত, শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর বোমাগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, সবই তৃণমূল পঞ্চায়েত দখলের জন্য জড়ো করছে। এই পরিস্থিতিতে হুগলির বিধায়কের ফেসবুক বার্তায় কতটা আশ্বস্ত হতে পারবেন বিরোধী নেতানেত্রীরা, প্রশ্ন থাকছেই।