হাওড়া পৌর নিগমে এবার বায়োমেট্রিক। — ফাইল চিত্র।
চাকরি করেন, কিন্তু দফতরে আসেন না। এমন কর্মীদের খুঁজে বার করতে কয়েক মাস আগে বিভিন্ন দফতর অনুযায়ী কর্মীদের তালিকা তৈরি হয়েছিল হাওড়া পুরসভায়। এ বার সেই পুরকর্মীদের কাজে ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হল পুরসভার সদর দফতর ও বরো অফিসগুলিতে।
হাওড়া পুরসভার সদর দফতর, পুরসভার বরো অফিস ও উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে ফাঁকি দেন, এমন প্রচুর কর্মীর নাম আগেই পেয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরেই সেই কর্মীদের নিয়ে অভিযোগ ছিল বিস্তর। বিভিন্ন দফতর ধরে ধরে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়ার পরে কয়েক জন কর্মী ধরা পড়ায় বরখাস্তও হয়েছিলেন। কর্মীদের এই ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমাতে এ বার সমস্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীর জন্য চালু হল বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। এখন থেকে কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে এসে আঙুলের ছাপ কিংবা মুখের ছবি বায়োমেট্রিক যন্ত্রে দিতে হচ্ছে। তবেই তাঁদের দফতরে উপস্থিত হিসাবে গণ্য করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি জানান না দিলে অনুপস্থিত হিসাবেই গণ্য হচ্ছেন কর্মীরা। গত তিন দিন ধরে এ ভাবেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হয়ে গিয়েছে হাওড়া পুরসভায়।
সোমবার এই প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, এ বার কাজে ফাঁকির বিষয়টি বন্ধ হবে। কাজে গতি আসবে পুরসভায়। তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মোট ২৯টি বায়োমেট্রিক যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ১১টি রয়েছে ফেস ডিটেক্টর বা মুখের ছবি তোলার যন্ত্র। বাকিগুলি থাম্ব ইম্প্রেশন বা আঙুলের ছাপ নেওয়ার যন্ত্র।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দু’হাজার কর্মীর হাজিরা ওই যন্ত্রের সাহায্যে নেওয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীকালে পুরসভার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও ধীরে ধীরে এই পদ্ধতি চালু করে দেওয়া হবে।