Hooghly

সামান্য বচসা থেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আত্মীয়কে খুন করলেন যুবক! চুঁচুড়ার গ্রামে উত্তেজনা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সোমবার ১৮ মার্চ বিকেলে মোগলটুলিতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যান অমল খান নামে ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৮
murder

—প্রতীকী চিত্র।

সামান্য বচসা থেকে খুনোখুনির ঘটনা ঘটল হুগলির চুঁচুড়ায়। মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ চুঁচুড়ার মোগলটুলিতে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। হাসপাতালের সামনে হল অবরোধ এবং বিক্ষোভ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সোমবার ১৮ মার্চ বিকেলে মোগলটুলিতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যান অমল খান নামে ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, পড়ে গিয়েই তিনি অকথ্য গালাগালি শুরু করেন। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মাজিদ আনসারি নামে এক জনের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। কিছু ক্ষণের মধ্যে বচসা গড়ায় মারামারিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অমল এবং মাজিদ পরস্পরের আত্মীয়। আচমকা একটি বাঁশ দিয়ে অমলের মাথায় আঘাত করেন মাজিদ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তার ধারে পড়ে থাকার পর তাঁকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

অন্য দিকে, এই ঘটনায় শুক্রবারই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান কয়েক জন। আহত অমলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি কেন, এই অভিযোগ তুলে ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের পরিজন ও মোগলটুলির বাসিন্দাদের একাংশ। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে অবরোধ চলার পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী মৌসুমী বিবি বলেন, ‘‘ঘটনার দিন আমাকে ফোন করে ডাকা হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, মাথায় দশটা সেলাই পড়েছে আমার স্বামীর।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নেশা করত বলে আমার সঙ্গে অশান্তি হত। আমি বলেছিলাম শুধরে যাও। গত পাঁচ মাস আমি স্বামীর ঘরে ছিলাম না। মা আর বোনের সঙ্গে থাকতাম।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় অভিযোগের পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে তারা। রাতেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলে। তবে অভিযুক্ত মাজিদ ফেরার থাকায় তাঁর নাগাল পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement