শনিবার ডিএ মঞ্চে উঠে নওশাদের গায়ে হাত তোলার পর গ্রেফতার হন তোতা। —ফাইল চিত্র।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গায়ে হাত তুলে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজের কাজে একটুও অনুতপ্ত নন শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা। নিজেকে তৃণমূলের লোক বলে উল্লেখ করে তোতার দাবি, বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তাই তাঁর গায়ে হাত তুলে কোনও ভুল করেননি। ক্ষমা চাওয়ারও প্রশ্ন নেই।
শনিবার কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে গিয়েছিলেন নওশাদ। আগেও বিধায়ককে সেখানে দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের কাছে তাঁর বার্তা ছিল, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে সারা রাজ্যে। শনিবার তাঁর ভাষণের সময় এক ব্যক্তি মঞ্চে উঠে যান। বিধায়ককে প্রশ্ন করেন তিনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন। জবাব শেষ করতে পারেননি নওশাদ। আচম্বিতে তাঁকে ধাক্কা দেন ওই ব্যক্তি। হতভম্ব হয়ে গেলেও ততক্ষণাৎ নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন তিনি। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নওশাদ অভিযোগ করেন, তাঁকে ধাক্কা মারা ব্যক্তি তৃণমূলের। পরে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা গেলেও তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধন্দ দেখা যায়। তবে সেই অভিযুক্ত শেখ আব্দুল সালাম (তোতা) নিজেই জানাচ্ছেন যে তিনি শাসকশিবিরের লোক।
রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পেয়ে সোমবার হাও়়ড়ার বাঁকড়ায় নিজের বাড়ি ফিরেছেন তোতা। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘নওশাদ ডিএ মঞ্চ থেকে বাংলায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছেন।’’ আবারও তোতার প্রশ্ন, ‘‘নওশাদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য কী করেছেন?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। অনেকদিন ধরে রাজনীতি করছি। তবে গত দু’বছর ধরে আমি এলাকাছাড়া।’’ তবে কেন তিনি বাড়িছাড়া ছিলেন, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।