হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডে ভেঙে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশের ভ্যাট। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানবাহন থামিয়ে রাস্তার পাশের ভ্যাট থেকে আবর্জনা তোলা বন্ধ করতে এ বার উদ্যোগী হল হাওড়া পুরসভা। ভ্যাটের সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে কলকাতা পুরসভার মতো কম্প্যাক্টর মেশিন কেনার উপরে জোর দেওয়া হবে।
তা হলেই রাস্তার পাশে খোলা ভ্যাটের আর প্রয়োজন পড়বে না। এর পরে সেগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলা হবে।
এর আগে হাওড়ায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জঞ্জাল নিয়ে একাধিক বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী সময়মতো জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে তেমন কোনও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি
বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে। তিনি সম্প্রতি সালকিয়ার রাস্তার পাশে থাকা দু’টি বড় ভ্যাট ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দু’-একটি ভ্যাট ভেঙে ফেলা পুরো সমস্যার সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়। সম্প্রতি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ, মধ্য, শিবপুর ও উত্তর হাওড়া— এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে চারটি কম্প্যাক্টর মেশিন বসানো হবে। এর পরে ধীরে ধীরে ওই যন্ত্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাওড়া পুরসভা এলাকায় মোট ভ্যাট রয়েছে ২১৮টি। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, এই ভ্যাটের সংখ্যা আগে ছিল ২৮৪টি। সেগুলি ক্রমাগত কমানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, যে ভ্যাটগুলি এখনও চালু আছে, সেগুলিতে দরজা বসিয়ে এমন ভাবে মেরামত করা হচ্ছে যে বাইরে থেকে জঞ্জাল দেখা যাবে না। এ বিষয়ে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক বলেন, ‘‘কোনও সভ্য দেশে এই ভাবে প্রকাশ্যে যানবাহন দাঁড় করিয়ে দুর্গন্ধময় জঞ্জাল তোলা হয় না। এটা খুবই দৃষ্টিকটু। তা ছাড়া, এই কাজের জন্য যানবাহন চলাচলেও বাধার সৃষ্টি হয়। এই জঞ্জাল তোলার সময়ও আমরা এ বার পাল্টাচ্ছি। ব্যস্ত সময়ে যাতে রাস্তার পাশ থেকে জঞ্জাল না তোলা হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার ভ্যাটগুলিতে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করতে বছর কয়েক আগে হাওড়ার ১১টি ওয়ার্ডে শুরু করা হয়েছিল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। এই প্রকল্পে পুরসভার সাফাইকর্মীরা বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে সবুজ ও নীল বাক্সে সংগ্রহ করতেন, যাতে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য সহজে আলাদা করা যায়। পুর প্রশাসকদের আশা, নতুন বছরের শুরুতে আরও ১টি ওয়ার্ডে এই প্রকল্প চালু হবে। যার ফলে ভ্যাটের সংখ্যা আরও কমানো যাবে।