ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে মিলল যাত্রীর দেহ। — প্রতীকী চিত্র।
ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে মিলল এক ব্যক্তির দেহ। মঙ্গলবার সকালের দিকে ট্রেনের প্রতিবন্ধী কামরা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মৃতের নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি হাওড়ার বালিতে। ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পৌঁছেছিল। ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে আসার পর দেখা যায়, প্রতিবন্ধী কামরার উপরের বাঙ্কে চাদর চাপা অবস্থায় ওই যাত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। কী ভাবে ওই যাত্রীর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাওড়া জিআরপি সূত্রে খবর, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে হাওড়া জিআরপি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেলপুলিশের কর্মীরা। মৃতের দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর তদন্তে আরও সুবিধা হতে পারে বলে মনে করছে জিআরপির তদন্তকারী দল। তাঁকে খুন করা হয়েছে, না কি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু? আঘাতের চিহ্নগুলিই বা কী ভাবে এল? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে সে বিষয়ে ধারণা পেতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই অনুসারে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি পেশায় তবলাবাদক। তবে কী কারণে তিনি কাটিহার গিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রেনটি বিহারের কাটিহার থেকে রওনা দেওয়ার পর যে স্টেশনগুলিতে থামে, সেই স্টেশনগুলির কথাও মাথায় রাখছে পুলিশ। যদি তাঁকে খুন করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আততায়ী কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন, তিনি মৃতের পূর্বপরিচিত ছিলেন কি না— সেই বিষয়েও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।