—প্রতীকী চিত্র।
গোটা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে দু’টাকা, পাঁচ টাকার চকচকে সব কয়েন। পাশেই পড়ে রয়েছে দু’টি কয়েন ভর্তি ব্যাগ। সাতসকালে রাস্তায় টাকা পড়ে থাকার এই খবর পেয়ে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা থেকে টপাটপ কয়েন কুড়িয়ে যে যাঁর ঝুলিতে ভরছিলেন। এই দৃশ্য দেখে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থমকে গিয়েছিল ওই রাস্তা দিয়ে চলা সমস্ত যানবাহন। মুহূর্তের মধ্যে যানজট তৈরি হয়ে যায় গোটা এলাকায়।
শুক্রবার সাতসকালে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উনসানি আন্ডারপাসে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতাগামী একটি দূরপাল্লার বাসের ছাদ থেকে দু’টি বস্তা কোনও ভাবে পড়ে যায় উনসানি আন্ডারপাসের রাস্তায়। একটি বস্তা ফেটে গিয়ে শয়ে শয়ে কয়েন ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। সেই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় রাস্তার পাশের বস্তিতে। সেখান থেকে লোকজন ছুটে এসে দ্রুতগামী যানবাহনের পরোয়া না করেই কয়েন কুড়োতে শুরু করেন। যার ফলে থমকে যায় যানবাহন। যানজট ছড়িয়ে পড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের খেজুরতলা পর্যন্ত।
এ দিকে, যান চলাচল আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে শুনে ছুটে আসেন কোনা ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা। তাঁরা রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন কয়েন কুড়োতে আসা বস্তিবাসীদের। এর পরে দ্রুত সমস্ত কয়েন ও কয়েন-ভর্তি আর একটি বস্তা সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, উনসানির বাসিন্দা মোর্শেদ আলম সর্দার বললেন, ‘‘নমাজ পড়ে ফেরার সময়ে আমরা অনেকেই ওই ঘটনা দেখতে পাই। কিন্তু কী ভাবে এত কয়েন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ল, তা বুঝতে পারিনি। পরে জানলাম, বাসের ছাদ থেকে পড়েছে।’’
পুলিশ জানায়, যে বাসের ছাদ থেকে ওই কয়েনের বস্তাগুলি পড়েছে, সেটি চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বস্তা দু’টি পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন বাস থামিয়ে সেগুলি তোলা হল না, তা খতিয়ে দেখা হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঠিক কত টাকার কয়েন রয়েছে, তা গুনে দেখা হয়নি। বস্তাগুলি রেখে দেওয়া হয়েছে। কোনও দাবিদার এলে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে, ওই কয়েনের বস্তা দু’টি তাঁরই। তবেই সেগুলি ফেরত দেওয়া হবে।’’