(বাঁ দিকে) শিবপুরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে বিধায়কের নামফলক।—নিজস্ব চিত্র। তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দীন মোল্লা (ডান দিকে)।— ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় গভীর রাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় চালক-সহ মৃত দুই। শনিবার রাত ১টা নাগাদ শিবপুরের ফোরশোর রোডে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। মৃত্যু হয় দু’জনের। সওয়ারি তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নামফলক লাগানো ছিল। যদিও বিধায়কের দাবি, গাড়িটি তাঁর নয়।
শনিবার রাতে চার জনকে নিয়ে হাওড়ার শিবপুরের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা মোস্তাক খান (২৫)। সেই সময়ে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল একটি ট্রেলার। গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারের পিছন দিকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দুর্ঘটনার অভিঘাতে গাড়ির সামনের দিকের অংশ ট্রেলারের পিছনে আটকে যায়। যাত্রীরা ভিতরেই আটকে পড়েন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে চালক-সহ মোট পাঁচ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সকলেই চালকের আত্মীয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তুবড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মোস্তাক এবং আরও এক জনকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালেই। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। রাতেই তাঁরা পৌঁছন। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।
মোস্তাকের বাবা মহম্মদ মুখতার বলেন, ‘‘আমার বাঁকড়ার বাড়িতে পুজো ছিল। গাড়ি নিয়ে আমার ছেলে এসেছিল। অন্যরাও ছিল ওর সঙ্গে। ফেরার সময়ে শুনলাম গাড়িতে দুর্ঘটনা। আমরা এসে দেখি ঘটনাস্থলেই ছেলে এবং আরও এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে। শুনলাম আরও দু’জনের অবস্থা খারাপ। আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি। আমার ছেলে বিধায়ক গিয়াসউদ্দিনের গাড়ি চালাত। সেই গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার স্করপিও গাড়ি রয়েছে। সেটিই আমি ব্যবহার করি। সেই গাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা সকলে সুস্থ রয়েছি। অন্য কোনও দুর্ঘটনার কথা শুনিনি।’’