OBC Certificate Case

ওবিসি শংসাপত্র মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে, আপাতত বহাল হাই কোর্টের রায়ই

গত ২২ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১০
ওবিসি শংসাপত্র মামলার শুনানি পিছোল সুপ্রিম কোর্টে।

ওবিসি শংসাপত্র মামলার শুনানি পিছোল সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়) শংসাপত্র মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের বেঞ্চে। কিন্তু শুনানি হয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ জানুয়ারি। ফলে আপাতত ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রইল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

গত ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরও। গত ডিসেম্বরে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। যার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

মূল মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে জানান, হাই কোর্ট রায়ে বলেছে ওবিসিদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও সমীক্ষা করা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছাড়াই ওবিসি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কমিশনকে এড়িয়ে ওই কাজ করা হয়েছে। বিচারপতি গাভাই জানান, হাই কোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? রাজ্য পাল্টা দাবি করে, হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না। আজ, ৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়। সেই মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement
আরও পড়ুন