২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানান, আগামী সোমবার মামলার শুনানি করা যেতে পারে। সব পক্ষ তাতে রাজি হয়। আগামী ১৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। মঙ্গলবার শুনানি হলে সিবিআইয়ের সওয়াল করার কথা ছিল। সেই মতো এক আইনজীবী জানান, সিবিআই যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে রিপোর্ট দিক। শুনানি না-হলেও আদালতের আগের নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার এই মামলায় রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে জমা দিতে হবে হলফনামা।
একাধিক বার পিছিয়ে যাওয়ার পর গত ১৯ ডিসেম্বর চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য, এসএসসি। সে দিন শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল। সম্ভাব্য কোন উপায়ে তা করা যায়, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখা হয়। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।”
গত ২২ এপ্রিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। তার ফলে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয় ওই চাকরিপ্রাপকদের।
হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। পৃথক ভাবে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারাদের কয়েক জনও দফায় দফায় মামলা করেন হাই কোর্টের নির্দেশে । গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির যুক্তি ছিল, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।