Durga Puja 2023

রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল বোস, ঘোষণা রাজভবনের

বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ বার সেরা পুজো প্যান্ডেলকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর দিন দেওয়া হবে ওই পুরস্কার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৩০
CV Ananda Bose.

সেরা পুজো প্যান্ডেলকে ‘ইনাম’ দেবেন রাজ্যপাল। —ফাইল চিত্র।

গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর পর কার্নিভালের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। আলোয় ভাসা রেড রোড জমে ওঠে পুজোর শোভাযাত্রা নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আবেশে। শহরের বিভিন্ন নামী পুজোর সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসে অপেক্ষাকৃত অনামী পুজো বা অচেনা শিল্পীদের কাজ। সেই জোয়ারে ভাসল রাজভবনও। এ বার সেরা পুজো প্যান্ডেলকে ‘ইনাম’ দেবেন রাজ্যপাল। এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ বার সেরা পুজো প্যান্ডেলকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর দিন দেওয়া হবে ওই পুরস্কার। কোনটি সেরা পুজো প্যান্ডেল হবে, তা বাছবেন সাধারণ মানুষই। রাজভবনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ খরচ করা হবে না। রাজভবনের তরফে একটি মেল আইডি দেওয়া হয়েছে— aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com এই মেল আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন পুজো কমিটি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে।

এ বার পুজোয় প্রতিপদ থেকেই শহরের দুর্গাপুজো দেখতে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গত ১৫ অক্টোবর রবিবার দু’টি জায়গায় যান তিনি। বিকেল নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে প্রথমে কুমোরটুলি যান রাজ্যপাল। সেখানে প্রতিমা তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে খোঁজখবর নেন। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন বোস। দুর্গাপুজোর কাজ মিটলে কুমোরটুলিতে আর কোন কোন প্রতিমা তৈরি হয় তা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন রাজ্যপাল। রবিবার রাজ্যপাল বোসের হাতে মাটির তৈরি একটি লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তি তুলে দেন এক মৃৎশিল্পী।

দুর্গাপুজোয় এ বার রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সম্মান প্রদান শুরু করেছে রাজভবন। রাজভবনের পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা মতোই ‘মিশন কলাক্রান্তি’র উদ্বোধন করেছেন রাজ্যপাল। সম্মানিত করা হয় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ও ইঞ্জিনিয়ার্সকে দেওয়া হয় ‘দুর্গা ভারত পরম সম্মান’। চন্দ্রযানের সাফল্যের জন্য সম্মানিত করা হয় ইসরোকে। এ ছাড়া, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কেও বিশেষ সম্মান প্রদান করেন রাজ্যপাল বোস। দুর্গাপুজোর আবহে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজ্যের দুর্নীতি রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মা দুর্গা যেমন অসুর নিধন করেছিলেন, তেমনিই এই দুর্নীতিরও অবসান ঘটাতে হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন