Recruitment Case

তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন ‘কালীঘাটের কাকু’? গলার স্বরের নমুনা গ্রহণের নির্দেশ দিল আদালত

গত জুলাই মাসে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে একটি অডিয়ো বার্তা পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বর পরীক্ষা করতে চেয়ে আবেদন করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৩
Sujay Krishna Bhadra is directed to give voice sample for testing

‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এমনই একটি অডিয়ো বার্তা আদালতে পেশ করেছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল ওই অডিয়োতে সুজয়ের গলা শোনা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। সুজয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে আবার ‘কালীঘাটের কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisement

গত জুলাই মাসে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে একটি অডিয়ো বার্তা পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে কাউকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলতে বলা হচ্ছে। সেই গলা সুজয়ের বলে দাবি করে ইডি। তাদের আবেদন অনুযায়ী, সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি তখনই দিয়েছিল আদালত।

কিন্তু এর পর ‘কালীঘাটের কাকু’ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি ইডি নতুন করে আদালতের সামনে এনেছে। তারা জানিয়েছে, নিয়োগ মামলার তদন্তে এই স্বর ‘কালীঘাটের কাকু’র কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এর পরেই আদালতের নির্দেশ, সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করবেন তদন্তকারী আধিকারিক। মেডিক্যাল অফিসার এ ক্ষেত্রে রোগীর উপর যাতে কোনও রকম চাপ সৃষ্টি না করা হয়, সে দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে হাসপাতালে গিয়েই ইডির আধিকারিক সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করবেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে সহায়তা করবেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে দু’বার হাসপাতালে গিয়ে সুজয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে এসেছে।

ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানান, কলকাতা হাই কোর্ট নিয়োগ মামলার তদন্ত চলতি বছরেই শেষ করার কথা বলেছে। সেই কারণে তদন্ত গতি এসেছে। ‘কালীঘাটের কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা তদন্তের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাঁরা আবার আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালত তাঁদের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন