— প্রতীকী চিত্র।
গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অবিলম্বে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। নয়তো লোকসভা নির্বাচনে আর বিজেপির সঙ্গে থাকবে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নার পর দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লাকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন যুব মোর্চার সদস্যেরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠানো স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। নয়তো গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তাদের আর তাদের সমর্থন করবে না।
আটের দশক থেকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বার বার উত্তাল হয়েছে পাহাড়। কখনও সুভাষ ঘিসিঙ, কখনও বা বিমল গুরুঙের নেতৃত্বে। দীর্ঘ দিন চলেছে ধর্মঘট। হয়েছে প্রাণহানি। সম্প্রতি দিল্লির যন্তরমন্তরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন স্বয়ং মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং৷ এ বার যুব মোর্চা ধর্নায় বসেছিল। ওই ধর্না শেষ করেই তারা দুই মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। এ প্রসঙ্গে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘গোর্খারা বিজেপির প্রতি আস্থা হারিয়েছে৷ পাহাড়ে পর পর নির্বাচনে তাদের ফল দেখলেই বোঝা যায়। তাই বিজেপিকে যদি পাহাড়ে জয় পেতে হয়, তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। নির্বাচনের আগেই তাদের গোর্খাল্যান্ড নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে আমরা আর বিজেপির সঙ্গে থাকব না। আমাদের দল একাই লড়াই করবে।’’