gariahat murder case

Gariahat Murder Case: গড়িয়াহাট জোড়া খুনে আটক আরও দুই, মূল চক্রী ভিকির সন্ধানে মরিয়া গোয়েন্দারা

পুলিশ সূত্রে খবর, মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি লুঠপাট ও খুনের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে তিন জন লোক জোগাড় করেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১ ১২:২৮
গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত আরও দুই যুবক।

গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত আরও দুই যুবক। নিজস্ব চিত্র

গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুন-কাণ্ডে মূল চক্রী ভিকি হালদার এখনও অধরা। তবে ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন এমন সন্দেহে শুক্রবার দুই যুবককে আটক করল পুলিশ। তাঁদের পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, ভিকির সঙ্গে খুনের ঘটনায় ওই দুই যুবকও জড়িত থাকতে পারেন। পুরো ঘটনা জানতে ধৃতদের লালবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


জোড়া খুন-কাণ্ডের পরতে পরতে যেন রহস্য। একটার পর একটা জট ছাড়িয়ে এগোতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের। মৃতদেহগুলি দেখে তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। পরে তাঁরা খুনের ঘটনার অন্যতম মূল চক্রী মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেন। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার বিষয়ে আরও নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি লুঠপাট এবং খুনের জন্য তিন জন ব্যক্তিকে জোগাড় করেন। তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে ওই কাজ করতে বলা হয় বলেও দাবি করেন তিনি। এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বাকিদের উদ্দেশে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এর পর শুক্রবার খুনের সন্দেহে জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভিকির এখনও নাগাল পাননি গোয়েন্দারা। এখন তাঁদের আশা, শুক্রবার ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শীঘ্রই কোনও সূত্র পাওয়া যাবে।

Advertisement

খাস কলকাতা শহরের বুকে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ওই ঘটনায় তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে লালাবাজরের গোয়েন্দা বিভাগ। চার দিনের মাথায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল চক্রী মিঠুকে তাঁরা গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই খুনের ঘটনায় তাঁর ছেলে ভিকিই প্রধান অভিযুক্ত। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার খুনের পরিকল্পনা করেন ভিকি। তার পর তিনি তাঁর মাকে পুরো পরিকল্পনার কথা জানান। সেই মতো মিঠু কাজ হাসিল করতে তিন জন লোক জোগাড় করেন। কারা সেই তিন জন? তাঁরা এখন কোথায়? বুধবার থেকে এই বিষয়টিকে পাখির চোখ করে খোঁজা শুরু করে পুলিশ। তার পরই শুক্রবার সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করা হয়। তাঁরাও ওই খুনে জড়িত ছিল কি না, জিজ্ঞাসাবাদের পর তা জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।


বৃহস্পতিবার কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র জানিয়েছিলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে। দোষীদের পাকড়াও চলছে। এখনও কিছু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা বাকি। শুক্রবার জাহির ও বাপিকে আটক করার পর গোয়েন্দারা নতুন কোনও সূত্র পান কি না, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে পরবর্তী তদন্তের গতিপ্রকৃতি। তবে ভিকির খোঁজে এখন মরিয়া গোয়েন্দারা।

Advertisement
আরও পড়ুন