—ফাইল চিত্র।
শুধু শাহজাহান শেখকে জেরা নয়, এ বার সন্দেশখালির শেখের ঘনিষ্ঠ বলয়ের সদস্যদের কোর্টেও হাজির করাতে চায় ইডি। এর মধ্যে যেমন শাহজাহানের ভাই আলমগির শেখ রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালির আর এক তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা এবং শাহাজাহানের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দিদার মোল্লাও। ইডি সূত্রে খবর,আদালতে হাজির করানোর পরই এঁদের তিন জনকে হেফাজতেও চাওয়া হবে।
শাহজাহানের ভাই আলমগিরকে এর আগে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত দিদারও। সিবিআই যখন তাঁদের গ্রেফতার করে, তখন শাহজাহানও ছিলেন সিবিআই হেফাজতেই। ইডির উপর হামলার ঘটনায় আলমগির এবং দিদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, শাহজাহানের আর এক শাগরেদ শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ইডির উপর হামলা এবং সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে। শিবুও এখন জেলেই। ইডি এই তিন জনকেই আদালতে হাজির করানোর জন্য বুধবার বিচারভবনে আবেদন করেছে।
কেন এঁদের আদালতে হাজির করাতে চাইছে ইডি? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এঁদের তিন জনকেই হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইডির। তবে যে মামলায় সিবিআই বা রাজ্য পুলিশ এঁদের গ্রেফতার করেছিল, সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নয়। ইডি শাহজাহানের ভাই এবং তাঁর দুই শাগরেদকে হেফাজতে চাইছে সন্দেশখালির জমি দখল এবং ভেড়ি দখল সংক্রান্ত মামলায়।
সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে এ বার সেই দিকেই নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তার সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। সেই চেষ্টারই প্রাথমিক পর্বে এই তিন জনকে আদালতে হাজির করাতে চাইছেন ইডির গোয়েন্দারা। আদালতে হাজির হওয়ার পরেই তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইডির।