(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ‘নাচানাচি’ করার অভিযোগ আনলেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। প্রস্তাবের পক্ষে বলার সময় শেষ করেও বলে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা। স্পিকার জানান, আপনাদের বিধায়কেরাও অনেক সময় নষ্ট করেন। আর স্পিকার চাইলে কোনও বক্তৃতার সময় বাড়াতেই পারেন। এর পরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বক্তৃতায় পিএম কেয়ার ফান্ডের বিষয়টি তুলে আনেন চন্দ্রিমা। বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা ও হিরণ চট্টোপাধ্যায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের সন্তানসম বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এতেই প্রতিবাদ করে বিজেপি বিধায়কেরা সরব হন। স্লোগান মারফত অভিযোগ করা হয়, নিয়মমাফিক আলোচনা হচ্ছে না। শাসকদল আলোচনার নিয়মনীতি না মেনে ইচ্ছে মতো অধিবেশন চালাচ্ছে।
কিছু ক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর বিক্ষোভ দেখিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়কেরা। তৃণমূলের অভিযোগ, ওয়াক আউটের সময় হাত তুলে অধিবেশন কক্ষে নৃত্য করেছেন শুভেন্দু। বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্পিকারের উদ্দেশে বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় অভিযোগ করেন, “কোনও বিধায়ক অসংসদীয় কথা বললে তা বাদ দেওয়া হয়। এর আগে বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশনে হাততালি দিয়েছেন। আজ তো বিরোধী দলনেতা দু'হাত তুলে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে নৃত্য করে গেলেন। তাঁর এই অসংসদীয় আচরণ কী ভাবে বাদ দেবেন?” পাল্টা স্পিকার বলেন, “বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে কখনওই এই ধরনের আচরণ কাম্য নয়। আমি বিরোধী দলনেতার এমন আচরণের নিন্দা করছি।”
তবে তৃণমূলের এমন অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দল। বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা বলেন, “তৃণমূল নেত্রী সংসদে স্পিকারকে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন। এ ছাড়াও ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিধানসভা ভাঙচুর করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর দলের কাছে আমরা বা আমাদের বিরোধী দলনেতা সংসদীয় শব্দ বা আচরণ শিখবেন না। আগে কাকে সংসদীয় ভাষা বলা হয় তা শিখুক তৃণমূল।”