শান্তনুকে ১০ দিনের হেফাজতে পেয়েছে ইডি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ১০ দিনেরে ইডি হেফাজত। পরবর্তী শুনানি ২৪ মার্চ। আদলতে ইডি সোমবার এমন দাবিও করেছে যে, শান্তনুর মোবাইলে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ‘সোনার খনি’ পাওয়া গিয়েছে। দুই আইফোনে না কি এমন অনেক নাম পাওয়া গিয়েছে যা শুনলে চমকে যেতে হবে। একই সঙ্গে ইডির দাবি, আগে এই দুর্নীতিতে আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ ১১১ কোটি মনে করা হলেও এখন দেখা যাচ্ছে তা ৩৫০ কোটি টাকার।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডির সওয়ালে উঠে আসে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির কথাও। কী করে ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের ব্যবসা করা শান্তনু ৫১ কাটা জমি, রিসর্ট, রেস্তোঁরা, ধাবার মালিক হলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইডির আইনজীবী। শান্তনুর বিরুদ্ধে ইডি এমন অভিযোগও তুলেছে যে, বহু সম্পত্তির স্ত্রীয়ের নামে রয়েছে। ইডি আদালতে জানায়, শান্তনু যদি এই সব সম্পত্তির বিষয়ে কিছু জানেন না বলেন, তবে তাঁর স্ত্রীকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
একই সঙ্গে ইডি আদালতকে জানিয়েছে, শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইডি জানায়, এই তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন। দুর্নীতির ব্যাপকতা বোঝাতে ইডির কৌঁসুলি একে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। দাবি করেন যে, দুর্নীতির অঙ্ক এখনও পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।