সিপিএমের যুব নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় মেমারি থেকে আসা কৃষিজীবি পরিবার ও অন্যেরা। শ্যামবাজারে সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের অবস্থানে। —নিজস্ব চিত্র।
অডিয়ো-ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত তাঁর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর আইনজীবী শামিম আহমেদ মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আইনজীবীর অভিযোগ, ‘ষড়যন্ত্র’ করে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। বিচারপতি এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের খবর, চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে। সিপিএম আগেই জানিয়েছে, ‘চক্রান্ত’ করে কলতানকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে আইনি লড়াই হবে। পাশাপাশি রাস্তায় চলবে রাজনৈতিক প্রতিবাদ।
সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের টানা অবস্থান এখনও চলছে শ্যামবাজারে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেতমপুর গ্রামের বাসিন্দা কোহিনূর শেখ, তাঁর ছেলে জীবন শেখ ও অন্যেরা এ দিন এসেছিলেন শ্যামবাজারে অবস্থান-স্থলে সিপিএমের যুব নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে। গ্রামে শাসক দল তাঁদের উপরে অত্যাচার করছে, এই অভিযোগে জেলাশাসকের দফতরের সামনে লাগাতার অবস্থান করেছিল ওই পরিবার। তার পরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে হেঁটে রওনা হলে গুড়াপ থানার পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে ফেরত পাঠায় বলে দাবি। কোহিনূরদের অভিযোগ, তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বার করতে দেওয়া হচ্ছে না স্থানীয় তৃণমূলের বাধায়। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন পাশে দাঁড়ানোর। মীনাক্ষীর বক্তব্য, আর জি কর-কাণ্ডে ন্যায়-বিচারের দাবির পাশাপাশি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও তাঁদের লড়াই চলবে সর্বশক্তিতে।