ফাইল ছবি।
অতিমারিতে মণ্ডপে ঢোকায় বাদ সেধেছে নিয়ন্ত্রণবিধি। কিন্তু বৃষ্টি কি বাড়ি থেকেও বার হতে দেবে না পুজোয়! পঞ্চমীর সকালে আশঙ্কার সেই মেঘেই যেন আকাশ কালো। কলকাতার বেশ কিছু অংশে তো বটেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি।
পূর্বাভাস ছিলই। আবহাওয়াবিদরা আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, পঞ্চমীর সকালে বৃষ্টি হতে পারে। বিদায়ী বর্ষার উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরার কোনও লক্ষণ নেই। ফলে কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার সকালে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পঞ্চমীর সারা দিনই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হবে। এমনকি বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
মূলত বিদায়ী বর্ষার কারণেই বৃষ্টি। মহালয়াতে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা এখনও শেষ না হওয়ায় পঞ্চমী পেরিয়ে ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতেও এমন বৃষ্টি চলতে পারে বলে আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে উৎসবের কয়েকটা দিন ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হতে পারে। অন্তত পঞ্চমীর সকাল তেমনই আভাস দিচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল অষ্টমী থেকে দশমী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকেই উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। তার জেরেই দুর্গাপুজোর শেষ তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে কলকাতা, দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছিলেন আবহবিদরা।