(বাঁ দিকে) বেঁচে যাওয়া সেই খুদে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
খেলতে খেলতে কোনও ভাবে কয়েন গিলে ফেলেছিল সাত বছরের শিশু। তড়িঘড়ি ছেলেকে নিয়ে বাবা ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে ছোটেন। শেষমেশ স্বাস্থ্য শিবিরের ডাক্তারদের তৎপরতাতেই প্রাণ বাঁচল খুদের।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারে গত সাত দিন ধরে চলছে স্বাস্থ্য শিবির ‘সেবাশ্রয়’। বৃহস্পতিবার তা অষ্টম দিনে পা রেখেছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে পরিষেবা পেয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার সেই শিবিরেই নিয়ে আসা হয়েছিল সাত বছরের ওই খুদেকে। শিশুটি খেলতে খেলতে অসাবধানতায় একটি পাঁচ টাকার কয়েন গিলে ফেলেছিল। অবস্থা বুঝে দ্রুত তাকে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন সেবাশ্রয় শিবিরের চিকিৎসকেরা। ‘সেবাশ্রয়’-এর দ্রুত পদক্ষেপেই প্রাণ বেঁচেছে শিশুটির।
সময়মতো সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিশুটির বাবা হোসেন খান। ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেককেও। হোসেনের কথায়, ‘‘খেলতে খেলতে আমার ছেলে একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। আমরা তাকে বসুলডাঙ্গার সেবাশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাই, সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। সে জন্য আমরা মাননীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’ ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। দলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছেলেটির সুস্থতা কামনা করেছে তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই অষ্টম দিনে পা রেখেছে ‘সেবাশ্রয়’। ৪১টি শিবির মিলিয়ে আট দিনে পরিষেবা পাওয়া মানুষের সংখ্যা এক লক্ষ পেরিয়েছে। গোটা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা জুড়েই ‘সেবাশ্রয়’ শিবির চলছে। এখন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভায় শিবির চলছে। এই শিবিরের মূল লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। শিবির চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভায় সাত দফায় হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত কর্মসূচি। অভিষেকের কথায়, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের মানুষের কাছে আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে সেবাশ্রয়। এটা সবে সূচনা।’’