Debanjan Deb

Debanjan Deb: কসবায় দেবাঞ্জনের দেওয়া জাল টিকায় মিলল অ্যামিকাসিন, লালবাজারকে জানাল ড্রাগ কন্ট্রোল

দেবাঞ্জনের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত শিশিতে কোভিশিল্ড টিকা আছে কি না জানতে সেরাম ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। নমুনা পাঠানো হয় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলেও।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ২১:২৭
দেবাঞ্জন দেব এবং মিমি চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

দেবাঞ্জন দেব এবং মিমি চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

কসবায় ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের ব্যবহার করা টিকার শিশিতে মিলেছে অ্যামিকাসিন নামে অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব। শুক্রবার লালবাজারকে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। দেবাঞ্জনের ব্যবহার করা টিকা কোভিশিল্ড নয় বলে বৃহস্পতিবার লালবাজারকে জানিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট।

কসবার ওই জাল টিকা-কাণ্ড সামনে আসতেই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো আইপিএস দেবাঞ্জনকে। কসবা এবং সিটি কলেজে দু’টি টিকা ক্যাম্প করেছিল দেবাঞ্জন। পরে দেবাঞ্জনের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ভুয়ো টিকার শিশি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। তল্লাশি চলাকালীনই তদন্তকারীরা শিশির গায়ে লাগানো স্টিকার তুলতেই বেরিয়ে এসেছিল অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে ব্যবহৃত ওষুধ অ্যামিকাসিনের নাম।

Advertisement

দেবাঞ্জানের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত শিশিতে কোভিশিল্ড টিকা আছে কি না জানতে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ওই শিশিতে ঠিক কী আছে তা জানতে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। দেবাঞ্জনের টিকা হিসাবে ব্যবহার করা তরল কোভিশিল্ড নয় তা নিশ্চিত করার পর ওই তরলে অ্যামিকাসিনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের ভুয়ো টিকা ক্যাম্প থেকে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে। জাল টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করেছে। প্রসঙ্গত, কসবার এই শিবির থেকে টিকা নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও।

আরও পড়ুন
Advertisement