মার্চে মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে দফতরকে। ফাইল চিত্র।
আগামী মে মাসে হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটকে সামনে রেখে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে গতি বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সেই উপলক্ষ্যে আগামী মার্চ মাসে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি নতুন চারটি সেতুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে নামখানা ব্লকেই তৈরি হচ্ছে দুটি সেতু। নামখানা ব্লকের সুন্দরিকা-দ্বারিকা নদীর উপর সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। নামখানার সীমাবাঁধ সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পথে। একই ভাবে মাতলা নদীর উপর মৌখালিতে হচ্ছে আরও একটি সেতু। সেই সেতুটি ক্যানিং-১ ও ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে। এই সেতুর কাজও শেষ হয়ে এসেছে। হিঙ্গলগঞ্জের গোমতী নদীর উপর সেতুর কাজও প্রায় শেষের পথে। এই সব ক’টি সেতু নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। তারা চেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী এই চারটি সেতুর উদ্বোধন করুন ফেব্রুয়ারি মাসেই। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট প্রচারে। তার পর তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন নিয়ে। তাই নবান্ন থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে কোনও ভাবেই এই সেতু উদ্বোধন করা সম্ভব নয়। তাই সময় নিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হোক। মার্চে মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে দফতরকে।
সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যে ২২টি সেতুর কাজ শেষ করেছে। সেই সুন্দরবনেই নতুন করে তৈরি হচ্ছে আরও ১৩টি সেতু। যার মধ্যে চারটির নির্মাণ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হবে। সেই চারটি সেতুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গত বছরে দুর্গম সুন্দরবন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। একের পর এক সেতুর মাধ্যমে জুড়ে গিয়েছে দুই বা ততোধিক বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল। এখনও একে একে বিচ্ছিন্ন ব্লকগুলিকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে দফতর। সেই ধাপেই মার্চ মাসে চারটি সেতু উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ বাংলার রাজনীতির বৃত্তে থাকা ব্যক্তিদের একাংশ মনে করছে, বিচ্ছিন্ন সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লককে সেতুর মালায় গেঁথে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল পেতে পারে শাসকদল তৃণমূল। যদিও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেই গড় ধরে রাখার জন্য সুন্দরবনে সেতু নির্মাণ সহায়ক হতেই পারে।