মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
১২-১৫ সেপ্টেম্বর দুই মেদিনীপুর জেলা সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সোমবার একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী রওনা হয়ে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উদ্দেশ্যে। সূত্রের খবর, নিজের এই সফরে তিনি থাকতে পারেন খড়্গপুরে। সোমবার খড়্গপুরে কোনও কর্মসূচি না থাকলেও, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। এই বৈঠকের কথা তৃণমূল নেত্রী ৮ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় ঘোষণা করেছিলেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ঠিক করতেই যে এই বৈঠক হবে, তা-ও জানিয়েছিলেন মমতা। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস প্রয়াত হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে ওই পদটি খালি রয়েছে। তাই, এই সফরে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ঠিক করে দেবেন তিনি। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। বিজেপি যখন নবান্ন অভিযান করবে, তখন মমতা থাকবেন খড়্গপুরের দলীয় বৈঠকে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যাবেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়িতে। সেখানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি, নবরূপে তৈরি তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, দিঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধনও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর ছুটিতে যাতে পর্যটকরা দিঘাকে নতুন ভাবে পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন তাঁর এই সফরেই নবরূপে সেজে ওঠা প্রকল্পগুলির উদ্বোধন চাইছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী দিঘাতেই জগন্নাথ মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিডকো)। ইতিমধ্যে হিডকোর আধিকারিকরা মন্দির নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জমিও দেখে এসেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এই সফরেই মন্দিরের শিলান্যাস করতে পারেন। তবে সবই নির্ভর করছে প্রশাসনিক প্রস্তুতির ওপর।
নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক সভা শেষ করে বুধবারই খড়্গপুর ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। পর দিন খড়্গপুর শিল্পদ্যোনের একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সেই কর্মসূচি শেষ করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।