অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হেফাজতে নিয়ে অত্যাচারের ঘটনায় আপাতত সিবিআই তদন্ত হবে না। সোমবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করতে পারবে না সিবিআই। আগামী ৪ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তত দিন পর্যন্ত ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে দুই তরুণীকে হেফাজতে নিয়ে অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারবে না সিবিআই।
সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিজেপির মিছিল থেকে দু’জন তরুণীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দুই তরুণী। অভিযোগ, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘পুলিশের এই আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। যে ভাবে হেফাজতে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে পুলিশের উপর আদালতের আর ভরসা নেই। তাই ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক।’’ সিবিআইকে আগামী ১৫ নভেম্বর আদালতে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
কিন্তু সিবিআই সোমবার আদালতে জানায়, ইতিমধ্যেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। অথচ মূল মামলাকারীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। জানা যায়, সিবিআইও এখনও পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত করেনি। এর পরেই আদালতের নির্দেশ, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ মিছিল থেকেই অভিষেকের নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) এক মহিলা ডায়মন্ড হারবার থানায় ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলাও করেন। তার পরেই গত ৭ সেপ্টেম্বর নিমতা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই তরুণী।