Baba Siddique

নিশানায় ছিলেন বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানও, জেরায় মুম্বইয়ে নেতা খুনের তদন্তে নয়া মোড়়

মুম্বইয়ে বর্ষীয়ান নেতা খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ ছাড়াও এক চক্রীকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। রবিবারই তাঁদের মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে তোলা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৬
বাবা সিদ্দিকি (ইনসেট) ও তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকি।

বাবা সিদ্দিকি (ইনসেট) ও তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকি। — ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার ধৃতদের জেরার পর জানা গেল, বাবা সিদ্দিকির পাশাপাশি নিশানায় ছিলেন তাঁর ছেলে জিশানও!

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন কয়েক আগেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল সিদ্দিকি পরিবারকে। খুনের হুমকি পেয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানও। সোমবার অভিযুক্তেরা জেরার মুখে জানিয়েছেন, বাবা-ছেলে দু’জনকেই খুনের ‘নির্দেশ’ ছিল। সামনে যাকে পাবেন, তাঁকেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো শনিবার রাতে বাবা সিদ্দিকিকে সামনে পেয়ে গুলি চালান আততায়ীরা।

মুম্বইয়ে বর্ষীয়ান নেতা খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ ছাড়াও এক চক্রীকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। রবিবারই তাঁদের মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত এক আততায়ীর বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে তাঁর বয়স নির্ধারণের শারীরিক পরীক্ষাও (অসিফিকেশন টেস্ট) করানো হয়েছে। দুই আততায়ী ছাড়া ধৃত তৃতীয় ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের হয়ে পোস্ট করা যুবকের ভাই। খুনের আগে দুই অভিযুক্ত পুণেয় ওই ব্যক্তির ডেরাতেই ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শনিবার রাতে নির্মল নগরে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় এনসিপি (অজিত) নেতা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চলে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। ৯.৯ এমএম পিস্তল থেকে ছোড়া হয়েছিল গুলি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ি করে তিন জন দুষ্কৃতী এসেছিল। প্রত্যেকের মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। এই খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। শনিবারই শিন্ডে ঘোষণা করেন, এই হত্যা মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে। এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েক ঘটনার তদন্ত করবেন। সঙ্গে মুম্বই পুলিশকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন