CBI

কত পুরসভায় কত কর্মীকে অবৈধ পথে নিয়োগ? সংখ্যা জানিয়ে প্রথম বার কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই মামলায় ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। মোট ১,৮২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৬
CBI says how many illegal recruitment in municipalities by Ayan Sil

অয়ন শীল। ছবি: সংগৃহীত।

মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। এর পাশাপাশি সিবিআই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে এই প্রথম বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে ঠিক কত জনের অবৈধ নিয়োগ হয়েছে তার সংখ্যা জানাল আদালতে। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে যে রিপোর্ট পেশ করা হয় তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই মামলায় ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। মোট ১,৮২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে অয়ন শীলের সন্ধান পায় ইডি। এর পরে পুরসভায় নিয়োগেও দুর্নীতির সন্ধান পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। দাবি করা হয়, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন। শুধু তা-ই নয়, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরিও নাকি পাইয়ে দিয়েছিলেন অনেককে। ইডি সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এই অয়ন চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তুলেছিলেন ৩৫ কোটিরও বেশি টাকা। আর এই পুরো টাকাটাই তাঁর হাতে আসে বিভিন্ন পুরসভার চাকরি আগাম ‘বিক্রি’ করে।

পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপেরও সন্ধান পায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্র দাবি করে, ওই গ্রুপের মাধ্যমেই চলত দুর্নীতির কারবার। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নাম এই গ্রুপে জমা পড়ার পর, তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত করতেন পুর কর্তৃপক্ষ। অয়নের বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে অনেক সাঙ্কেতিক শব্দ থেকে একাধিক মন্ত্রী যুক্ত থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে ওই দুর্নীতি নিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যার দাবি কখনও করা হয়নি। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাই বিচারপতি সিংহকে জানিয়েছে সিবিআই।

Advertisement
আরও পড়ুন