Chatradhar Mahato

রাজধানী অপহরণ মামলায় ছত্রধরের জামিন মঞ্জুর হাই কোর্টে, গত বিধানসভা ভোটের সময় গ্রেফতার হন তিনি

রাজধানী আটকের সময়ে ছত্রধর অবশ্য জেলবন্দি ছিলেন। তাঁর মুক্তির দাবিতেই বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস থামান সশস্ত্র মাওবাদীরা। এনআইএ দাবি করে জেলে বসেই ষড়যন্ত্র করেছিলেন ছত্রধর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৭
An image of Chatradhar Mahato

ছত্রধর মাহাতো। —ফাইল চিত্র।

রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় ছত্রধর মাহাতোর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটের পর বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন একদা পুলিশ বিরোধী জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের দিন শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাবের পর তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে শর্ত আছে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায় আপাতত প্রবেশ করতে পারবেন না ছত্রধর। সপ্তাহে এক বার তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরাও দিতে হবে তাঁকে। ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, ‘‘এই মামলার আমার মক্কেল ছত্রধর মাহাতোর জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর পর এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে।’’

Advertisement

২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর থেকে নয়াদিল্লিগামী রাজধানী আটক করেন মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির লোকজন। ওই মামলায় ছত্রধরকে অভিযুক্ত করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। রাজধানী আটকের সময়ে ছত্রধর অবশ্য জেলবন্দি ছিলেন। তাঁর মুক্তির দাবিতেই বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস থামান সশস্ত্র মাওবাদীরা। এনআইএ দাবি করে জেলে বসেই ছত্রধরই এক্সপ্রেস ট্রেন আটকানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনার ১১ বছর পর ২০২০ সালে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় এখনও অনেকে ফেরার বলে আদালতে জানিয়েছে এনআইএ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে ট্রায়ালে আদালতে তোলার জন্য রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় এখনও চার্জশিট দেয়নি আদালত। এই অবস্থায় ছত্রধরের জামিন মঞ্জুর করল আদালত।

আরও পড়ুন
Advertisement