দূরত্ববিধি বজায় রেখে বাঙালিকে দুর্গাপুজোয় আনন্দ করতে বলেছিল হাই কোর্ট। সেই নির্দেশে না মেনে উৎসাহীদের ভিড়ের ঢল নেমেছিল রাস্তায়। ফাইল চিত্র
দূরত্ববিধি বজায় রেখে বাঙালিকে দুর্গাপুজোয় আনন্দ করতে বলেছিল হাই কোর্ট। সেই নির্দেশে না মেনে উৎসাহীদের ভিড়ের ঢল নেমেছিল রাস্তায়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানিতে তিনি রীতিমতো বিরক্তির সুরেই বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানা দরকার বলেই মনে করেনি কেউ। দুর্গাপুজোয় যথেচ্ছ ভিড় হয়েছে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাও হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশ এ ভাবে প্রকাশ্যে অমান্য করার কারণ কী?
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছুটা উর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে কালীপুজো, ছট, জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো উৎসব আসন্ন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন অজয় দে নামে এক ব্যক্তি। দুর্গাপুজোর মাত্রাছাড়া ভিড়ের প্রসঙ্গ টেনে আসন্ন কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানিতেই দুর্গাপুজোয় ভিড়ের কারণ জানতে চেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। সোমবার আবেদনটির শুনানি ছিল বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ এবং বিচারপতি আনন্দকুমারের অবকাশকালীন বেঞ্চে। বেঞ্চ ওই ব্যাক্তিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকেই রাজ্যে স্বাভাবিক ভাবে লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করেছে। এতে কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের একাংশের। তাঁদের আশঙ্কা, দুর্গাপুজোয় ট্রেন স্বাভাবিক ভাবে না চললেও ভিড় হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় আরও বাড়তে পারে।