Bratya Basu on Jadavpur University

যাদবপুরের বুদ্ধদেবের কী করা উচিত, পদে থেকে যাওয়া না কি পদত্যাগ? ব্যাখ্যা ব্রাত্যের

যাদবপুরের উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে বুদ্ধদেব সাউকে। ফলে পড়ুয়াদের ডিগ্রি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ব্রাত্য বুধবার সে প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৬
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যাদবপুর নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যাদবপুর নিয়ে মন্তব্য করেছেন। —নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। উপাচার্যের পদ তাঁর ছাড়া উচিত কি না, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন।

Advertisement

ব্রাত্য জানান, বুদ্ধদেব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গিয়ে যা করেছেন, তা তিনি নৈতিক ভাবে সমর্থন করেন। বুদ্ধদেবের পদত্যাগ করা উচিত নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আইন অনুযায়ী কোনও উপাচার্যের ছ’মাসের বেশি মেয়াদ থাকার কথা নয়। সেই ছ’মাস তো পেরিয়ে গিয়েছে। সুতরাং আইন অনুযায়ী সমস্ত উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু অন্য কেউ যদি পদ না ছাড়েন, তাহলে বুদ্ধদেব সাউ পদত্যাগ করবেন কেন?’’

ব্রাত্য আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপালের মুখের উপর জবাব দিয়ে উপাচার্য যে কাজটা করছেন, সেটা আইন কী ভাবে দেখবে আমি জানি না। মধ্যরাতে ওঁকে সরানোর অর্ডার বেরিয়েছিল। আমার মনে হয়, নৈতিক ভাবে কাজটা তিনি ঠিক করেছেন। মেয়াদ তো ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই পদ ছাড়লে সকলেরই ছাড়া উচিত। রাজ্যপালের নিযুক্ত উপাচার্যেরা সকলেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশকারী।’’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরে সমাবর্তন বা কৃতী ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠান হয়। এ বছর সমাবর্তনের ঠিক আগের দিন রাতে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেবকে অপসারণ করেন। ফলে সমাবর্তন হবে কি না, শেষ মুহূর্তে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। সমাবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের একটি বৈঠক হয়। তার জন্য আচার্যের সম্মতি প্রয়োজন। সেই সম্মতি না মিললেও কোর্টের বৈঠক হয় এবং সমাবর্তের আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই বুদ্ধদেবকে অপসারণের নির্দেশ আসে রাজভবন থেকে।

সমাবর্তনের দিন সকালে বুদ্ধদেব জানান, পড়ুয়াদের স্বার্থেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ সমাবর্তন না হলে উচ্চশিক্ষারত ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন ওই দিন সকালে। যথাযথ ভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পদ থেকে অপসৃত উপাচার্য মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও পড়ুয়ারা ডিগ্রি পান রেজিস্ট্রার এবং সহ-উপাচার্যের পৌরহিত্যে। এর পরেও ওই শংসাপত্র নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারণ, রাজভবনের দাবি, অপসৃত উপাচার্যের স্বাক্ষর থাকায় পড়ুয়াদের শংসাপত্র অবৈধ। এই পরিস্থিতিতে বেনজির জট তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র এবং সমাবর্তন নিয়ে। বুধবার সে প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement
আরও পড়ুন