Madhya Pradesh High Court

‘ধর্মীয় শহর’, এই যুক্তিতে কসাইখানার অনুমতি বাতিল করা যায় না: মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ১৯৬১ সালের পুরসভা আইন প্রয়োগ করে জানায়, মন্দসৌর শহরের ১০০ মিটার এলাকায় কসাইখানা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না। যুক্তি দেওয়া হয় যে, মন্দসৌর ‘পবিত্র ধর্মীয় শহর’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩১
‘ধর্মীয় শহর’ এই যুক্তিতে কসাইখানার অনুমতি বাতিল করা যায় না: মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট

‘ধর্মীয় শহর’ এই যুক্তিতে কসাইখানার অনুমতি বাতিল করা যায় না: মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ধর্মীয় শহর, এই যুক্তিতে কোনও শহরে কসাইখানার অনুমতি বাতিল করা যায় না বলে জানাল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ১৯৬১ সালের পুর আইন প্রয়োগ করে জানায়, মন্দসৌর শহরের ১০০ মিটার এলাকায় কসাইখানা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয় যে, মন্দসৌর ‘পবিত্র ধর্মীয় শহর’। রাজ্য প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে মামলা হয়। গত মঙ্গলবার বিচারপতি প্রণয় বর্মার একক বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানায়, ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে এটা বলা যায় না যে, গোটা শহরটিকে পবিত্র হিসাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

উচ্চ আদালত জানায়, মন্দসৌর ধর্মীয় শহর, এই যুক্তিতে কসাইখানা খোলার অনুমতি না-দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। তবে একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কসাইখানা খোলার জন্য ১৯৭৪ সালের জল (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং ১৯৮১ সালের দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে হাই কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া কসাইখানা চালানো যাবে না।

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে কসাইখানা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মন্দসৌর পুর প্রশাসনের তরফে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলা হয়, শহরের ধর্মীয় তাৎপর্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুর প্রশাসকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন যে, শহরে মাংস বিক্রি করার জন্য ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) চেয়েও পাননি তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন