India-Bangladesh Border

মালদহ সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে বাধা বাংলাদেশের! তবে আপত্তি উড়িয়ে কাজ শুরু করে দিল বিএসএফ

সীমান্তের এ পারে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর এলাকা। ও পারে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা। সরকারি নির্দেশে সীমান্তের উন্মুক্ত স্থানে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৮
কাঁটাতার বসানো নিয়ে মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা।

কাঁটাতার বসানো নিয়ে মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।

মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানো ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হল। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতার বসাতে গেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সীমান্তের দু’ধারে জড়ো হন দু’দেশের দুই গ্রামের বাসিন্দারা। তবে আপাতত বিজিবির আপত্তি উড়িয়েই সীমান্তের এ পারে কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলেই বিএসএফ সূত্রে খবর। এই প্রসঙ্গে মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেন, “কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। সমস্যা হয়েছিল। তা সমাধান করা হয়েছে।”

Advertisement

সোমবার মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের অন্তর্গত বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করে কেন্দ্রের পূর্ত সড়ক বিভাগ এবং বিএসএফ। এলাকাটি বৈষ্ণবনগর থানার আওতাধীন। অভিযোগ, কাজ শুরু হওয়ার পরেই বিজিবি আধিকারিকেরা দাবি করেন, এলাকাটি বাংলাদেশের মধ্যে পড়ে। তাই বিএসএফ সেখানে বেড়া বসাতে পারে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই সীমান্তবর্তী ওই অংশটি অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। সীমান্তের এ পারে বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর এলাকা। ও পারে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার শিবগঞ্জ থানার এলাকা। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাবিহীন উন্মুক্ত স্থানে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং গত কয়েক মাসে একাধিক অনুপ্রবেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএসএফের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বিএসএফ এবং বিজিবি আধিকারিকদের মধ্যে কয়েক দফায় আলোচনা হয়। বিজিবিকে বোঝানো হয়, এলাকাটি ভারতের আওতাধীন। তাই সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে কাঁটাতার বসানো প্রয়োজন। তার পর শুরু হয় বেড়া বসানোর কাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত সেখানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন