Bonny Sengupta

বনি সেনগুপ্তকে দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ, ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিনেতা

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখে বনি সেনগুপ্তের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার পরই তাঁকে তলব করে ইডি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ২১:২৪
photo of Bonny Sengupta.

রাত ৯টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোন বনি সেনগুপ্ত। ফাইল চিত্র।

প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতর থেকে বেরোলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্রে টলিপাড়ার বনিকে শুক্রবার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার সকালেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর) যান বনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন অভিনেতা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ইডি দফতরের বাইরে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট পর সেই বিরতি শেষে আবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন বনি। পরে রাত ৯টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান অভিনেতা। সবমিলিয়ে দু’দফায় বনিকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
photo of Bonny Sengupta

ইডি দফতর থেকে বেরোনোর মুহূর্তে বনি। নিজস্ব চিত্র।

কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে বনির নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেনের তথ্য জানার পরই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে বনির হাজিরা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। এই প্রথম এই কাণ্ডে কোনও টলি অভিনেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তদন্তকারীরা।

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় সংবাদমাধ্যমে কুন্তল প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বনি। তিনি বলেন, ‘‘উনি (কুন্তল) আমাকে একবারই (টাকা) দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনেছিলাম আমি। উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।’’ কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? সরাসরি সে কথার উত্তর দেননি বনি। তবে সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ৩৫- ৪০ লক্ষ টাকা বলাতে তিনি বলেন, ‘‘ওই রকমই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দিয়েছি। তা ছাড়া যে অর্থ নিয়েছি, তার বদলে কাজও করেছি। তাই ওই টাকাকে আমার পারিশ্রমিকই বলা যেতে পারে।’’

বনিকে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার দুপুরে আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর ইভেন্টের কাজ করেছে। যে টাকা দিয়েছি, তা ওর পারিশ্রমিক।’’ বনির সূত্রেই কুন্তলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল টলিপাড়ার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। বনির ‘বান্ধবী’ কৌশানীও দাবি করেছেন, ‘‘বনির সঙ্গে পরিচয় সূত্রেই আমার সঙ্গে (কুন্তলের) আলাপ। আমার সঙ্গে ওঁর কোনও ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না। উনি আমাকে একটা ইভেন্টের জন্য বলেছিলেন। আমি একটা ইভেন্ট ওঁর জন্য করে দিয়েছিলাম। উনি আমাকে টাকা দিয়েছিলেন। সেখানেই সব শেষ।’’

Advertisement
আরও পড়ুন