Singur

Singur Protest: সিঙ্গুরে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপি, মিছিলে দিলীপ-সুকান্ত, ধর্না ঘিরে সতর্ক প্রশাসন

সিংহের ভেড়িতে দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে ধরনা বিজেপি নেতাদের। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৫৩
সিঙ্গুরে বিজেপি-র কর্মসূচি।

সিঙ্গুরে বিজেপি-র কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র।

আত্মহত্যা করেছেন এমন কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, কৃষকদের উপযুক্ত দামে সার, সেচের জন্য ভর্তুকিতে বিদ্যুৎ দেওয়া-সহ কয়েকটি দাবিতে সিঙ্গুরে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু বিজেপি-র। সেখানে প্রথমে মিছিল করে বিজেপি। তাতে যোগ দেন বঙ্গ বিজেপি-র নেতারা। পরে শুরু হয় ধর্না। টানা তিন দিন হুগলির সিঙ্গুরের গোপালনগরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ধর্না দেবে বিজেপি।
সিঙ্গুরে বিজেপি-র কর্মসূচির জন্য সোমবার গভীর রাতে অনুমতি দেয় পুলিশ। এর পর মঙ্গলবার ধর্না মঞ্চ বাঁধা হয়। দুপুরে সিঙ্গুরের লোহাপট্টি থেকে মিছিল করে সিংহের ভেড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি নেতারা। সঙ্গে ছিলেন কর্মী-সমর্থকরাও।

সিংহের ভেড়িতে দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে ধর্না মঞ্চ বিজেপি-র। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে তাঁদের কাছে দুটো পথ খোলা রয়েছে। হয় পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাওয়া না হলে আত্মহত্যা করা।’’ তাঁর মতে, রতন টাটা এখান থেকে চলে যাওয়া দেশের শিল্পমহল পশ্চিমবঙ্গের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না।’’ এ ছাড়া মঙ্গলবারের মিছিলে উপস্থিত হন রাহুল সিংহ, অগ্নিমিত্রা পাল, চন্দনা বাউড়ি-সহ অনেকে।

Advertisement

দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের জেরে নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে বিজেপি-র গায়ে যে ‘কৃষক বিরোধী’ তা বদলাতেই কি এই আন্দোলন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির অবশ্য মত, ‘‘আমরা কৃষক বিরোধী নই। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশ— এই মন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা কৃষকদের এই আইনগুলি বোঝাতে পারিনি। ওই আইন রাজ্যের কৃষকদের জন্য উপযুক্ত ছিল।’’ সিঙ্গুরের কৃষকরা আমাদের পাশে আছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

মিছিল শুরুর আগে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘হয় কৃষকদের জমি ফেরত দিন। না হলে চাকরি দিন। মোদীজি কৃষকদের বছরে ছয় হাজার টাকা দিচ্ছেন। সেটাও উনি দিতে দিচ্ছেন না।

রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলে নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরও একটি মাইলস্টোন হিসাবেই খ্যাত। ২০০৯ সালে রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোপালনগরে টানা ১৪ দিন টাটা প্রকল্পে অধিগৃহীত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান-আন্দোলন করেছিলেন। বিজেপিও একই জায়গায় নিজেদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করায় বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বলেি মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন