শুভেন্দুর উপহারে মমতার পছন্দের রং। ফাইল চিত্র।
সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির অন্দরমহলেও সেই বৈঠক নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তারই মধ্যে বুধবার ছিল, এ বছরের মতো বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিন। এই উপলক্ষে বিজেপির সতীর্থ বিধায়কদের জন্য বিশেষ উপহারের বন্দোবস্ত করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই উপহারের ব্যাগের রঙে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের ছোঁয়া থাকায় তা নিতে চাননি বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই বদলে গেল উপহারের ব্যাগ। মূলত দুই ধরনের রঙের পাটের ব্যাগে উপহারের বন্দোবস্ত করেছিল বিরোধী দলনেতার দফতর।
একটি গেরুয়া-সাদা রঙের পাটের ব্যাগ এবং দ্বিতীয়টি নীল-সাদা রঙের পাটের ব্যাগ। মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে নিজ নিজ উপহার বুঝে নিতে বলা হয় বিজেপি বিধায়কদের। বুধবার অধিবেশন শেষে বিরোধী দলনেতার ঘর থেকে উপহার বণ্টন শুরু হয়। প্রথমে অবশ্য কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক উপহার সমেত নীল-সাদা রঙের পাটের ব্যাগ নিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি নজরে আসে খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিকের। তিনিই প্রথম নীল-সাদা রঙের পাটের ব্যাগ নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ ভাবে বিষয়টি নজরে আসায় বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ঠাট্টা শুরু হয়ে যায়। একে একে বিধায়ক অশোক দিন্দা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ মাইতিরা মজার ছলেই নীল-সাদা রঙের ব্যাগটি নিতে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি বুঝে বিধায়কদের আর নীল-সাদা পাটের ব্যাগ দেওয়া হয়নি। বরং সবাইকেই দেওয়া হয় উপহার-সহ গেরুয়া ও সাদা রঙের ব্যাগ।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, “এত বড় করে দেখার মতো বিষয় নয়। আমাদের সকলের নীল-সাদা রঙের পাটের ব্যাগের বদলে গেরুয়া-সাদা ব্যাগই পছন্দ। তাই আমরা আমাদের দাবি জানাতেই বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে আমাদের পছন্দ মতো উপহারের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। আর আমরা সবাই বিষয়টি মজা হিসেবেই দেখেছি।” আরও এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, “এ ভাবে গত ১১ বছরে রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে যেভাবে নীল-সাদা প্রচার করেছেন, তা এখন রাজ্য সরকারের নিজস্ব রং হয়ে গেছে। আর আমাদের দলের যে গেরুয়া পতাকা আছে সেই রঙের একটি ব্যাগের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল তাই আমরা নিজেদের পছন্দের ব্যাগটি বেছে নিয়েছি।”