BJP

Mihir Goswami & Cooch behar: বেনারসে কোচবিহারের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেছে মমতার সরকার, অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

বেনারসে থাকা কোচবিহারের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অভিযোগ করলেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ২০:৪২
কোচবিহারের জেলাশাসককে প্রতিবাদপত্রও লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

কোচবিহারের জেলাশাসককে প্রতিবাদপত্রও লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। নিজস্ব চিত্র

বেনারসে থাকা কোচবিহারের দেবোত্তর সম্পত্তি ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বেনারসে থাকা কোচবিহার কালীবাড়ির দুটি ছবি পোস্ট করেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক। একটি কোচবিহার কালীবাড়ির পুরনো ছবি, দ্বিতীয়টি বর্তমান অবস্থার ছবি। ফেসবুকে তিনি অভিযোগ করে লেখেন, ‘২০১১-তে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার কাশীতে কোচবিহার কালীবাড়ি, রক্ষণাবেক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমে (১০ ডিসেম্বর ২০১১) উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছিলেন, “বেনারসের ওই সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে কেন্দ্রের সহযোগিতা নেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের একটি দল প্রয়োজনে সেখানে যাবে.....।"

তিনি আরও লেখেন, ‘এবার সেই রক্ষণাবেক্ষণের নমুনা দেখুন। ২০১২ সালের ছবিতে, কোচবিহার কালীবাড়ির প্রধান ফটকের অপরূপ নকশা, রং এবং স্থাপত্য পুরোটাই বদলে গেছে বর্তমানে। বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং কোচবিহার রাজপরিবারের ঐতিহ্য রক্ষার নামে এ তো শিল্পকলার নৃশংস হত্যা!! চূড়ান্ত অবহেলার নিদর্শন!! কোচবিহার তথা বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার দায় কি মমতা ব্যানার্জি নেবেন?’ ফেসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট করার পাশাপাশি, অভিযোগ জানিয়ে কোচবিহারের জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে মিহির বলেন, ‘‘১৯৪৯ সালে কোচবিহার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসেবে মর্যাদা পায় কোচবিহার। সেই সময় শ্রী শ্রী মদনমোহন ট্রাস্ট-সহ বেশ কয়েকটি ট্রাস্ট গঠন করে তাঁদের দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার পাশাপাশি, সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পূজা অর্চনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে একতরফা ভাবে রাজ্য সরকার বেনারসের কালীবাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস করে তার দখল করে নিতে চাইছে।’’

মিহিরের এমন অভিযোগ মানতে চাননি প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলের বিধায়ক বলেই মিহিরবাবু সঠিক কথা বলছেন না। বেনারসের যে কালীবাড়িটির কথা উনি বলছেন, তা রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী তৎপর হয়েছেন। ট্রাস্টের জমি দখল করে একটি আখড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে সেখানে। তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে সেই জায়গাটি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement