নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
সিপিএমের আমন্ত্রণে বাংলায় আসতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। গত কয়েক দিন ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র আহ্বায়ক হিসেবে নীতীশের নাম চূড়ান্ত হতে পারে। তার মধ্যেই জানা গেল, বাম আমন্ত্রণ রাখতে বাংলায় আসতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, নীতীশকে দু’টি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সেই দু’টি কর্মসূচির কোনওটিরই আয়োজক সরাসরি সিপিএম নয়। সিপিএম সূত্রে খবর, ১৭ জানুয়ারি অথবা ২১ জানুয়ারি নীতীশকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আলিমুদ্দিন সূত্রে এ-ও বলা হয়েছে, নীতীশের তরফে ‘প্রাথমিক সম্মতি’ মিলেছে। তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আয়োজকদের জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি তাঁর পৃথক একটি কর্মসূচি থাকতে পারে। সে দিন না আসতে পারলে ২১ জানুয়ারি তিনি কলকাতায় আসবেন।
১৭ জানুয়ারি জ্যোতি বসুর মৃত্যুদিন। ওই দিন নিউ টাউনে ‘জ্যোতি বসু স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে থাকার কথা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির। সেই অনুষ্ঠানে নীতীশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সে দিন না পারলে ২১ জানুয়ারি যেন নীতীশ আসেন, সেই মর্মেও আবেদন জানানো হয়েছে। ২১ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আগের দিন। সে দিন একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতায়। ওই আলোচনা সভায় রামের জন্মের ‘প্রকৃত ইতিহাস’ নিয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনার সঙ্গে সরাসরি সিপিএম জড়িত নেই। তবে তাদের ‘ছোঁয়াচ’ রয়েছে। জ্যোতি বসুর মৃত্যুদিনের কর্মসূচিতে জাতীয় স্তরের আরও কিছু অ-বিজেপি নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তাঁর নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপনে।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত খবর, ২১ তারিখ তো নয়ই, ১৭ তারিখ জ্যোতি বসুর মৃত্যুদিনের কর্মসূচিতেও বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাবে না সিপিএম। আবার নীতীশকে ‘ইন্ডিয়া’ আহ্বায়ক করার সলতেও পাকছে। তা চূড়ান্ত হলে যদি সিপিএমের আমন্ত্রণে ওই কর্মসূচিতে নীতীশ আসেন, তা হলে অন্য রাজনীতিক সমীকরণ জারি হবে বলে মনে করছেন অনেকে। অনেকের বক্তব্য, সে সব ভেবেই সিপিএম চাইছে নীতীশ আসুন। তাতে তৃণমূলকে বাদ দিয়ে বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’র ছবি তৈরি করতে পারবে আলিমুদ্দিন। উল্লেখ্য, গত বছর নীতীশের পটনার বাড়িতেই প্রথম বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন। যদিও তখন জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ হয়নি। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে ওই নামকরণ হয়েছিল।