বর্ধমানের সন্দীপন সরকার অদিতি দাস । নিজস্ব চিত্র
সম্প্রতি অতিমারি আইন কিছুটা নরম করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে বিয়েতে ২০০ জন অতিথি আমন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু তাঁদের বিয়েতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৪০০। সংখ্যার এই তফাত দেখে ভাবছেন সে কী কাণ্ড! এ তো আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানো। না বর্ধমানের সন্দীপন সরকার, অদিতি দাস আইন ভাঙছেন না। বরং সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁরা বিয়ে করছেন বিয়ে অভিনব কায়দায়। কী সেই কায়দা?
২৪ জানুয়ারি বিয়ে করবেন অদিতি ও সন্দীপন। আমন্ত্রিতেরা কেউ সশরীরে আসবেন না। তাঁরা বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন গুগল মিটের মাধ্যমে। আর ভুরিভোজ? তাও হবে। জ্যোমাটো খাবার পৌঁছে দেবে আমন্ত্রিতদের বাড়িতে।
কেন এই পরিকল্পনা? সন্দীপন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে কোভিডের সমস্যা নিয়ে চারদিনে জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তখনই মাথায় এই পরিকল্পনা আসে। তাঁর কথায়, ‘‘কোভিডের জন্য ২ থেকে ৪ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তখনই ভাবতে থাকি বড় জমায়েত ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। যেখানে আত্মীরা এবং পরিবাররে সদস্যরা অনুষ্ঠানে শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। তখনও মাথায় এই ভাবনা আসে।’’
সন্দীপন জানিয়েছেন বিয়েতে শারীরিক ভাবে ১০০ থেকে ১২০ জন উপস্থিত থাকবে বাকি ৩০০ অতিথি নেটমাধ্যমে দেখবেন বিয়ের সরাসরি সম্প্রচার। ঠিক একদিন আগে অতিথিরা বিয়ে সরাসরি দেখার জন্য লিঙ্ক এবং পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোডের বাসিন্দা সন্দীপনের পারিবারিক পরিবহণের ব্যবসা রয়েছে। অন্য দিকে তাঁর হবু স্ত্রী অদিতিও বর্ধমানের বাসিন্দা। কলকাতায় একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত।
জোম্যাটোর স্থানীয় এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম এই ধরনের প্রস্তাব পেয়ে তাঁরা বেশ অবাকই হয়েছিলেন, কিন্তু এই উদ্যোগ তাঁদের বেশ উৎসাহিত করেছে। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানাই। তাঁরা উদ্যোগকে স্বাগত জানান। আমরা ইতিমধ্যেই একটি টিম গড়েছি সম্পূর্ণ বিষয়টি সফল ভাবে রূপায়নের জন্য।’’ তিনি আরও বলেন, অতিমারির সময়ে অভিনব এই ভাবনাকে আমরা প্রচার করতে চাইছি।’’
সন্দীপন জানিয়েছে, প্রথাগত ভাবে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যে ধরনের খাবার থাকে, বর্ধমানে একটি রেস্তরাঁর সঙ্গে কথা বলে তা সরবরাহের ব্যবস্থা করেছ তারা। পাশাপাশি কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর আমন্ত্রিতদেরও খাবার পৌঁছে দেবে তারা।