Pond Filling

পুকুর ভরাটের নালিশে বিক্ষোভ

বাসিন্দারা জানান, প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পুকুরটি তাঁরা ব্যবহার করছেন। অভিযোগ, প্রায় ১৫ বছর পুকুরের চারপাশে দেওয়াল তুলে ভরাট করে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৬
এখানে পুকুর ছিল বলে দাবি। আসানসোলে।

এখানে পুকুর ছিল বলে দাবি। আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র।

পুকুর ভরাটের অভিযোগ তুলে শুক্রবার জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিলেন আসানসোলের কুমারপুরের বাসিন্দারা। কুমারপুর মৌজার ১৯১ নম্বর প্লটের একটি পুকুর এলাকারই এক ব্যক্তি ভরাট করছেন বলে অভিযোগ। জেলাশাসক এস পুন্নমবলম আশ্বাস দেন, দু’দিনের মধ্যে এলাকায় বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পুকুরটি তাঁরা ব্যবহার করছেন। অভিযোগ, প্রায় ১৫ বছর পুকুরের চারপাশে দেওয়াল তুলে ভরাট করে নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গোবর্ধন মণ্ডল বলেন, “ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ করা হয়েছিল। কাজ হয়নি বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করতে হয়েছে।” বাসিন্দাদের দাবি, ১৯১ নম্বর প্লটের অংশটি পুকুর বলে চিহ্নিত। ফলে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফেরানো হোক।

এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও ডোবার মতো কিছুটা অংশ বেঁচে রয়েছে। চারপাশে দেওয়াল তোলা হয়েছে। আবর্জনা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। শঙ্কর শর্মা নামে এক ব্যক্তি ওই পুকুর ভরাট করছেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, “আমি পশ্চিমবঙ্গ হাউসিং বোর্ডের কাছ থেকে ১৯০, ১৯১ ও ১৯৩ এই তিনটি প্লটের জমি লিজ়ে নিয়েছি। সেখানে পুকুর বলে কিছুর উল্লেখ নেই। বাসিন্দারা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।” যদিও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রের খবর, দফতরের খাতায় ১৯১ নম্বর প্লটটি পুকুর বলেই উল্লেখ রয়েছে।

সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট করে অবৈধ উপায়ে প্লট কেনাবেচার কারবারের অভিযোগ করেছেন। এই কাজে যুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আসানসোলের বিভিন্ন প্রান্তে পুকুর ভরাট ও অবৈধ জমি কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। চার জনকে গ্রেফতারও হয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন