আসানসোলে গুলি লেগে মৃত্যু যুবকের। —নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের হীরাপুরে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হল। শুক্রবার আদিত্য মণ্ডল নামে ওই ছাত্র দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে হীরাপুর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার হীরাপুর থানার ধ্রুবডাঙা সেবাসমিতির মাঠের কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আদিত্য গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।
অলোক মণ্ডল নামে ওই ছাত্রের এক বন্ধু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ধ্রুবডাঙ্গা সেবা সমিতির মাঠের সামনে তাঁরা কয়েক জন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে গণেশ সাউ ওরফে বেটলি নামে এক যুবকের হাতে একটি বন্দুক ছিল। কৌতূহলের বশে বন্দুকটি টানাটানি করেন আনমোল নামে আর এক তরুণ। সেই সময়ে বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। আদিত্যের চোখ এবং নাকের মাঝামাঝি অংশে গুলি লাগে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে।
তবে শত্রুতাবশত গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আদিত্যের মা নির্মলা মণ্ডল বলেন, ‘‘যে গুলি করেছে, তার নাম গণেশ সাউ। ছেলেকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সে নাম বলে গিয়েছে।’’ তিনি দাবি করেন গণেশের সঙ্গে আদিত্যর বন্ধুত্ব ছিল না। একই পাড়ার ছেলে। তাই একসঙ্গে হয়তো মাঠে বসেছিল তারা।
স্থানীয়দের একটি সূত্রে খবর, বার্নপুর ইসকো কারখানায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হবে। এর আগেও আধুনিকীকরণের সময় এমন অশান্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। বোমা, গুলি-বারুদের গন্ধে বার্নপুরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। খুনও হন কয়েক জন। কারখানা আধুনিকীকরণের শুরু হতে আবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসিপি ঈপ্সিতা দত্ত বলেন, ‘‘এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কী ভাবে গুলি লাগল, কেনই বা এই ঘটনা ঘটল, তদন্ত করে দেখার পরই বলতে পারব।’’ আপাতত এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।