Labour Death

খনিকর্মীর মৃত্যুতে গাফিলতির নালিশ

নজরদারিতে রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর গাফিলতিও রয়েছে, অভিযোগ প্রবীরের।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রেল ইয়ার্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খনিকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসিএল ও রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি ইসিএল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্ডাল রেল ইয়ার্ডের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালগাড়ির বগিতে উঠে কয়লা সরানোর কাজ (‌যে অংশে বেশি আছে সেখান থেকে সরিয়ে, কম আছে এমন জায়গায় কয়লা রাখা বা নামিয়ে দেওয়া হয়) করতে যান ইসিএলের খাসকাজোড়ার কর্মী কৃত্তিবাস ভুঁইয়া (৫২)। হঠাৎ রেল লাইনের বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর মণ্ডল বলেন, “ইসিএল ও রেল, কেউ এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।” তাঁর দাবি, “যখন কৃত্তিবাস কাজ করছিলেন তখন ইসিএলের এক জন সুপারভাইজার ও রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর থেকে পরিষ্কার সুপারভাইজার বা কর্মীকে প্রশিক্ষণ না দিয়েই ইসিএল এমন কাজ করতে পাঠানোই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।” তা ছাড়া, নজরদারিতে রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর গাফিলতিও রয়েছে, অভিযোগ প্রবীরের।

কাজের সময়ে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এইচএমএস-এর ইসিএল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়া জানান, নিয়ম অনুযায়ী মালগাড়িতে উঠে কয়লা সরানো বা নামানো-ওঠানোর কাজ করতে গেলে ইসিএলের পক্ষ থেকে রেলকে লিখিত ভাবে জানানো উচিত।‌ তাঁর দাবি, শোনা যাচ্ছে ইসিএল সে কাজ করেনি। নজরদারিতে থাকা রেলের নিরাপত্তারক্ষীরা উদাসীন থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষ্ণুদেব বলেন, “তাই এই দুর্ঘটনার দায় কোনও পক্ষ এড়িয়ে পেতে পারে না। রেল এবং ইসিএল দু’টি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।”

যদিও ইসিএলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (অপারেশন) নীলাদ্রি রায় বলেন, “রেল ইয়ার্ডে যে কোনও সামগ্রী ওঠানো বা নামানোর সময়ে সুরক্ষা নিশ্চিত রাখার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের। সেখানে কোনও সংস্থাকে লিখিত ভাবে জানাতে হয় না। তাই সমস্ত দায়িত্ব রেলের।‌ তাদের উচিত এ নিয়ে তদন্ত করা। কর্তব্যে গাফিলতিতে যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।’’ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কোশিক মিত্র জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন