— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাঘের শুরুতেও কনকনে শীতের মুখ দেখল না বঙ্গ। পর পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রবেশেই মাটি হল শীতের আমেজ! আগামী চার-পাঁচ দিনেও তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সপ্তাহান্তে ফের কিছুটা পারদপতন হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার আগমনে রাজ্যে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। এর জেরে আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। তবে সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ একটু বাড়তে পারে। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় বৃহস্পতির ভোরে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৩ ডিগ্রি বেশি। দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৬, কালিম্পঙে ৯.৩ এবং পুরুলিয়ায় ৮.১। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। শনিবার আরও এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকতে পারে। সেই কারণেই ভাটা পড়ছে শীতে।
আপাতত রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। কুয়াশার সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ঘন কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার,উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহে ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। এই জেলাগুলিতে দৃশ্যমানতা ১৯৯ থেকে ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে।