সইফের ঘটনায় পরিচাকরদের আটক করল মুম্বই পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
তড়িঘড়ি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ সইফ-করিনার বাড়ির কয়েক জন পরিচারককে আটক করেছে। মূলত, বাড়ির মেঝে পরিচর্যা করেন এঁরা।
বান্দ্রার এক বিলাসবহুল বহুতলের ১২ তলায় থাকেন সইফ। সেখানেই বুধবার রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কী ভাবে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে বাড়ির ভিতর দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ।
এর আগে আরও তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাড়ির এক পরিচারক, লিফ্টম্যান ও এক জন নিরাপত্তারক্ষী। ১৫ জনের একটি দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করছেন মুম্বই পুলিশ।
লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সইফকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে ইতিমধ্যেই চিকিৎসকেরা অভিনেতার শরীর থেকে ছুরির অংশ বার করেছেন। সইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচারও সফল ভাবে শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে অভিনেতার ‘কসমেটিক সার্জারি’ও।
ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সইফের শরীর থেকে প্রায় ২-৩ ইঞ্চির একটি ধারালো বস্তু বার করা গিয়েছে। চিকিৎসকেরা মনে করছেন ওটা ছুরিরই ভাঙা অংশ। লীলাবতী হাসপাতালের তরফে আগেই জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানানো হয়। সইফ শিরদাঁড়ার কাছেও আঘাত পেয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সইফের খবর প্রকাশ্যে আসার পরে উদ্বেগে গোটা বি-টাউন। অনুরাগীরাও এই খবরে ত্রস্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কী ভাবে সইফের মতো তারকার বাড়িতে এই ভাবে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে হামলা চালাতে পারে! নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তবে সইফের পরিবারের বাকিরা ঠিক আছেন বলে জানানো হয়েছে করিনার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে।