গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত তিনি। আবার তিনিই সাক্ষী? অনুপ মাজি ওরফে লালা অভিযুক্ত না কি সাক্ষী? সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। সিবিআইয়ের করা কয়লা পাচার মামলায় শনিবারও চার্জ গঠন করা হয়নি। আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে, এমন ৫০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ফেরার বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ‘ফাইল ফর প্রেজেন্ট’-এর নোটিস বার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত নরেশকুমার সাহা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা আদালতে হাজিরা দিয়েই চলে যান। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অনুপ ওরফে লালাকে সিবিআইয়ের তলবের পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকতে পারে।
শনিবার লালার কাছে বিচারক জানতে চান, তাঁকে ফোন করে না নোটিস পাঠিয়ে সিবিআই নিজ়াম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। লালা তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, ইমেল করে ডাকা হয়েছে তাঁকে। তখন বিচারক সেই ইমেল দেখতে চান। এ নিয়ে লালার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কয়লাকাণ্ডের চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনুপ মাজি, নারায়ণ নন্দা-সহ অন্যদের সিবিআই কলকাতা অফিসে ডাকে। সেই নোটিসের কপি বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে দেখিয়েছি আমরা। আমরা বলেছি, কী ভাবে এই নোটিস দেওয়া হল!’’ তার পরেই নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিচারক। তিনি সিবিআইকে বলেন চার্জশিটে নাম রয়েছে, এমন কোনও অভিযুক্তকে সাক্ষী হিসাবে কী ভাবে নোটিস দেওয়া যায়? সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশকুমার সিংহ যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘এই মামলার তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত নেই। সে জন্য সাক্ষী হিসাবে নোটিস কেন দেওয়া হয়েছে, তা এখন বলতে পারব না।’’
উল্লেখ্য, কয়লা মামলায় চার্জশিটে ‘উল্লেখযোগ্য’ নামের মধ্যে রয়েছেন বিনয় মিশ্র। কিন্তু এখনও তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে। আরও কয়েক জনকে এখনও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি।