TMC Inner Conflict

ভাতারে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের ‘বিজয়া সম্মিলনী’তে বিশৃঙ্খলা

মঙ্গলবার বিকেলে ভাতার বাজারে হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টে থেকে। সেই সময় বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্যসড়ক ধরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা হাউজিং মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৩

—প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে বিশৃঙ্খলা গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে। যার জেরে যান চলাচল বিঘ্নিত বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে ভাতার বাজারে হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টে থেকে। সেই সময় বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্যসড়ক ধরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা হাউজিং মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখা যায় ভাতার বাজারে নাসিগ্রাম মোড়ে হট্টগোল। কয়েক জন নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি করতে শুরু করেন। বিধায়ক ভিড়ের মধ্যে ঢুকেই শান্ত করতে যান দলীয় কর্মীদের। কিন্তু ধাক্কাধাক্কি দেখে কয়েকজন কর্মী গন্ডগোলের মাঝ থেকে বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে যান। ওই সময় বেশ উত্তেজিত দেখায় তৃণমূলের ভাতার ব্লকের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে। মঞ্চেও উত্তেজিত ছিলেন তিনি। তাঁকে শান্ত করেন ব্লক সভাপতি।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতার বাজারের বাসিন্দা দলের সহ-সভাপতি অশোকের সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছিল। তা-ই প্রকাশ্যে এসেছে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচিতে। অশোকের দাবি, ‘‘বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তার পর সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।’’

ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীও বলেন, ‘‘বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে। বাইরে কী ঘটেছে, সঠিক জানি না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন