বিডিওর কাছে অভিযোগ জানালেন নন্দাই পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস তালিকায় যোগ্যদের নাম নেই। অথচ রয়েছে মার্বল বসানো দোতলা বাড়ির মালিকের নাম! অভিযোগ, ২০২২ সালে প্রকাশিত তালিকা থেকে যোগ্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনা-১ ব্লকের বিডিওর কাছে অভিযোগ জানালেন নন্দাই পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি তাঁদের হুঁশিয়ারি, তালিকায় নাম না ঢোকানো হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগও জানান নতুনগ্রাম, ঘুঘুডাঙা, আশ্রমপাড়ার বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বিডিওর কাছে আবাসের তালিকা নিয়ে গিয়ে মকবুল শেখ নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, ২০২২ সালে আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে অনেক গরিবের নাম ছিল। কিন্তু বর্তমান তালিকায় তাঁদের নাম নেই। অভিযোগ, প্রায় ৩০ জন যোগ্যের নাম তালিকা থেকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা পেশায় ক্ষেত মজুর, বিড়ি শ্রমিক বা তাঁতি। থাকেন টিন বা পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা বাড়িতে। মকবুলের আরও অভিযোগ, ‘‘এই সব প্রকৃত দরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে আবাসের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে দোতলা মার্বল বসানো বাড়ির মালিকদের নাম।’’ অন্য দিকে, সেরিনা বিবি, আনহারা বিবি, রাবলা বিবিদের দাবি, ‘‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন গুজরান করতে হচ্ছে।’’ দাবি, সমীক্ষার সময়ে তাঁদের বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলা হয়েছিল। তালিকাতে নামও ছিল। তবে, এখন সেই সব নাম নেই।
এই বিষয়ে কালনা-১ ব্লকের বিডিও সুপ্রতীক সাহা বলেন, ‘‘ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, আবাস তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা যদি নিজেদের যোগ্য মনে করেন তবে তাঁরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আবেদন জানাতে পারেন।’’ তালিকা থেকে বেশ কয়েক জনের নাম বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে সুপ্রতীক বলেন, ‘‘২০১৮ সালের মূল তালিকা ধরে সমীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালে। পাকা বাড়ি থাকা অনেকের নাম বাদ গিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার যাঁরা আমার কাছে এসেছিলেন তাঁদের নাম কী কারণে বাদ গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। নির্দেশ মতো তদন্ত হবে।’’