Illegal Sand Mining

যন্ত্র নামিয়ে বালি তোলার অভিযোগ

সম্প্রতি মাইন অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন দামোদরে ছাঁকনি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পাইপ বা যন্ত্র দিয়ে বালি তোলাতেও।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ০৯:৪২
এ ভাবেই চলছে বালি তোলা।

এ ভাবেই চলছে বালি তোলা। নিজস্ব চিত্র।

দামোদরে যন্ত্র নামিয়ে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনুমোদন নেই ছাঁকনি ব্যবহারেরও। কিন্তু বিধি ভেঙেই নদের গর্ভ থেকে পাইপের মাধ্যমে বালি তুলছে এক বেসরকারি সংস্থা। ছাঁকনিও ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার সীমানায় দেখা যাচ্ছে বালি তোলার এই ঘটনা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার, বাঁকুড়া) বিবেক দত্তাত্রেয়া ভাস্মে বলেন, ‘‘বিষয়টা জেনেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গলসি ১ ব্লকের শিল্ল্যা লাগোয়া বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের টাশুলি মৌজায় বিপজ্জনক যন্ত্র ব্যবহার করে দামোদরের গর্ভে ৩০-৪০ ফুট গর্ত খুঁড়ে বালি তোলা হচ্ছে। পরে সেই বালি ছেঁকে ট্রাকে বোঝাই করে কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু শহরে পাচার করা হচ্ছে। নৌকায় পাইপ-সহ যন্ত্রপাতি বসিয়ে যে ভাবে বালি তোলা হচ্ছে তাতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে গিয়ে নলকূপগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পানীয় জল পেতেও সমস্যা হতে পারে। আবার নদের গতিপথ বদলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

সম্প্রতি মাইন অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন দামোদরে ছাঁকনি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পাইপ বা যন্ত্র দিয়ে বালি তোলাতেও। তা সত্ত্বেও ওই সংস্থা দিনেদুপুরে যন্ত্র ও ছাঁকনি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। গলসি ১ ব্লক প্রশাসনের দাবি, শিল্ল্যার দিকে থেকে ট্রাকে বালি বোঝাই করে গলসির দিকে এলেও ওই সংস্থা বালি তুলছে আসলে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লক এলাকায়। তাই এই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। বালি বোঝাই ট্রাক আটকালেও বৈধ কাগজপত্র থাকায় আইনি পদক্ষেপ করতেও পারছেন না তাঁরা। বিএলএলআরও (গলসি ১) কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার এলাকায় বালি তুলছে ওই সংস্থা। কী ভাবে তুলছে আমাদের জানা নেই।’’ প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, দামোদরের ওই অংশ দুই জেলার সীমানা হওয়ারই সুযোগ নিচ্ছে অভিযুক্ত সংস্থা। বিএলএলআরও (পাত্রসায়ের) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘অসুস্থ ছিলাম। তার উপরে ভোটের কাজ চলছিল। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন