CISF

পিটিয়ে খুন করায় অভিযুক্ত সিআইএসএফ! তৃণমূল, বিজেপির জোড়া বিক্ষোভ আসানসোলের কারখানায়

সোমবার সকালে কারখানার বাইরে এক জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর এক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল এবং বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:০৬
তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সিআইএসএফ জওয়ানদের।

তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সিআইএসএফ জওয়ানদের। —নিজস্ব চিত্র।

কারখানায় চুরি করতে এসে ধরা পড়ে যান এলাকার কয়েক জন যুবক। তাঁদের বেধড়ক মারধর করার করার অভিযোগ উঠল কারখানার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে। মার খেয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার এলসি মোড় সংলগ্ন এলাকার সেল গ্রোথ কারখানায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কারখানার বাইরে এক জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, সেটি স্থানীয় বাসিন্দা বিকি রবিদাসের দেহ। বিকির পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মারধর করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আহত যুবককে উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। ওই যুবক বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই দলই। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারের নেতৃত্বে দলের কর্মী-সমর্থকেরা ধর্না এবং অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী এবং আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী মিশ্রের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল সিআইএসএফ দফতরে গিয়েও বিক্ষোভ দেখায়। সিআইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তি, ঠেলাঠেলি শুরু হয়। সিআইএসএফ জওয়ানেরা লাঠি দিয়ে তাঁদেরকে ঠেলে বাইরে সরিয়ে দেন।

এই প্রসঙ্গে পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে তারা অভিযোগ করেছে যে, সিআইএসএফের কর্মীরাই তাদের ছেলেকে মেরেছে। এই ঘটনায় এক জন মারা গিয়েছেন আর এক জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে আসল ঘটনা কী, তা তদন্ত করার পরেই জানা যাবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement